ছবির বক্স অফিস কারও মাথা ঘামানোর বিষয় নয়, বলছেন পরিচালক হনসল মেহতা। ছবি—সংগৃহীত
সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি খারাপ হল না ভাল তা এখনও বিচার করা হয় ব্যবসা দিয়ে। বিষয়বস্তু নয়, অভিনয় নয়, সেই ছবি বক্স অফিসে কেমন ব্যবসা করল, তা-ই থাকে চর্চার কেন্দ্রে। ছবির সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারিত হয় বক্স অফিসের খতিয়ানের নিরিখেই।
অতীতে বক্স অফিসের খবর পেত না দর্শক। নিরপেক্ষ ভাবে সবাই ছবিটি দেখতে যেতেন। প্রথম দিনে বক্স অফিসে কত আয় হল, সেই বিচার করে দর্শক সংখ্যার হেরফের কয়েক বছর আগেও কল্পনা করা যেত না। লাভ-ক্ষতির আলোচনা হত কেবলমাত্র প্রযোজক, পরিবেশক, প্রদর্শকদের মধ্যে। এখন সাধারণ দর্শকের কাছেও বক্স অফিসের খতিয়ান আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
‘শহিদ’, ‘আলিগড়’-এর মতো ছবির পরিচালক হনসল মেহতা সম্প্রতি প্রসঙ্গটি তুললেন। এক জন টুইটার ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছিলেন বক্স অফিস সংগ্রহের অঙ্কের যথার্থতা নিয়ে। হনসল লিখলেন, “বক্স অফিসের সংগ্রহ বিষয়টা একেবারেই প্রযোজকের নিজস্ব ভাবনা। দর্শকের কাজ, শুধু টিকিট কেটে তাঁরা যে ছবি দেখছেন, তার অভিজ্ঞতা নিয়ে চর্চা করা।” হনসলের মত, সাধারণ দর্শকের বক্স অফিস বা তারকার ওঠাপড়া নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই।
তিনি লেখেন, “মোদ্দা কথা, ছবির বক্স অফিস কারও মাথা ঘামানোর বিষয় নয়। এটা তাঁদেরই দেখা প্রয়োজন, যাঁরা ছবির সঙ্গে নানা ভাবে জড়িয়ে থাকেন। এটা একেবারেই তাঁদের লেনদেনের বিষয়, একান্তই ব্যক্তিগত।”
বক্স অফিস সাফল্য দিয়ে ছবির ভালমন্দ বিচার করার বিরুদ্ধে হনসল। তিনি আরও বলেন, “ভয়ানক খারাপ ছবিও অনেক সময় বক্স অফিসে অনেক টাকা পায়, অনেক ভাল ছবিও তেমন টাকা পায় না। দর্শক হিসাবে আপনার ছবি দেখার অভিজ্ঞতার দিকেই মনোনিবেশ করা উচিত, ছবির বক্স অফিস সাফল্যের দিকে নয়। ছবি দেখার অভিজ্ঞতা টিকিটের দাম উশুল করে নিতে পারছে কি না, সেটাই বিচার্য।”
এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে এল নানা মত। কেউ সমর্থন করলেন হনসলকে, কেউ জানালেন, বক্স অফিসের সংগ্রহ তো ছবির জনপ্রিয়তা এবং দর্শকের সমাদরের সরাসরি সূচক। অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী অবশ্য সমর্থন করলেন হনসলের মত।
হনসল এখন ব্যস্ত আছেন তাঁর আগামী ওয়েব সিরিজ় ‘স্কুপ’ নিয়ে। মুখ্য চরিত্রে আছেন করিশ্মা তন্না।