বলি তারকাদের মধ্যে মতবিরোধ খুবই সাধারণ বিষয়। মতবিরোধ যেমন হয় সময়ের সঙ্গে আবার তা মিটেও যায়। কিন্তু ৪ বছর ধরেও বরফ গলছে না সুপার স্টার গোবিন্দ এবং তাঁর ভাগ্নে ক্রুষ্ণা অভিষেকের মধ্যে।
কপিল শর্মার শো-এর জনপ্রিয় মুখ ক্রুষ্ণা অভিষেক। বছর চারের আগে এই শো থেকেই প্রথম জানা যায় ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে মামা-ভাগ্নের মধ্যে। দু’জনের মুখ দেখাদেখিও প্রায় বন্ধ।
ঘটনার সূত্রপাত ক্রুষ্ণার শো ‘দ্য ড্রামা কোম্পানি’-তে। এই শো-এর প্রযোজকদেরও খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন গোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সুনীতা।
তাঁদের অনুরোধে এই শো-এ অতিথি হয়ে আসতে রাজি হন তাঁরা। সেই সময় ক্রুষ্ণার স্ত্রী কাশ্মীরা শাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, ‘টাকা নিয়ে মঞ্চে নাচার লোকজন’। মনে করা হয় গোবিন্দ-সুনীতার উদ্দেশেই ছিল এই মন্তব্য।
হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ কাশ্মীরা। বেশ কিছু ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তাঁর এই পোস্ট ঘিরে মামা-ভাগ্নের সম্পর্কে চিড় ধরে।
গোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী নিশ্চিত ছিলেন এই পোস্ট তাঁদের উদ্দেশেই। তাঁরা এতটাই আঘাত পান যে এর পর থেকে ক্রুষ্ণার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখেননি তাঁরা।
যদিও বিষয়টা জানান পর ক্রুষ্ণা অনেক বার গোবিন্দর কাছে যান এবং জানান কোথাও একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। স্ত্রী কাশ্মীরা এই পোস্টটি গোবিন্দকে নিয়ে নয়, তাঁর বোনের উদ্দেশে করেছিলেন বলেও দাবি করেন।
পরে ক্রুষ্ণা দাবি করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে আবার সব কিছু আগের মতো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আদপে কোনও কিছুই ঠিক ছিল না। সম্পর্কের বরফ গলেনি।
বছর দু’য়েক আগে কপিল শর্মার শো-এ ফের অতিথি হয়ে আসেন সস্ত্রীক গোবিন্দ। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সে দিন শোয়ের জনপ্রিয় মুখ ক্রুষ্ণা মঞ্চে ছিলেন না।
শো-এর পরিচালকের নাকি কড়া নির্দেশ ছিল যে গোবিন্দ এবং স্ত্রী সুনীতা যখন আসবেন এবং যত ক্ষণ থাকবেন ক্রুষ্ণাকে যেন শ্যুটিং সেটে না দেখা যায়।
ক্রুষ্ণা এবং কাশ্মীরার যমজ সন্তানের জন্মদিনের পার্টিতেও গোবিন্দর পরিবারের কেউ হাজির ছিলেন না।
গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা পরে জানিয়েছিলেন, ক্রুষ্ণার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ক্রুষ্ণা জন্মদিনের পার্টিতে তাঁদের আমন্ত্রণ জানাননি। আর যদি আমন্ত্রণ জানাতেন তা হলেও তাঁরা যেতেন না।
ছোটবেলায় ক্রুষ্ণা গোবিন্দর কাছেই বড় হয়েছেন। অনেকটা সময় গোবিন্দর বাড়িতেই থেকেছেন। ক্রুষ্ণার কেরিয়ার গড়তে কিছুটা হলেও সাহায্য করেছেন গোবিন্দ। অথচ স্ত্রী কাশ্মীরার একটা ছোট পোস্টে সম্পর্কটাই ভেঙে গেল।