গিপ্পী গ্রেওয়াল-সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
গত শনিবার নামজাদা পঞ্জাবি গায়ক গিপ্পী গ্রেওয়ালের বাড়ির সামনে হামলা চালায় এক দল দুষ্কৃতী। গিপ্পীর কানাডার বাড়ির লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। খবর পাওয়া যায়, পশ্চিম ভ্যাঙ্কুভারের হোয়াইট রক অঞ্চলে গায়কের বাড়ির সামনে এসে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর গায়কের নিরাপত্তার দিকে নজর বাড়ানোর পাশাপাশি তদন্তেও নেমেছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ। ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমের পাতায় গুলি চালানোর ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন আর এক পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি দাবি করেন, সলমন খানকে বার্তা দেওয়ার জন্যই নাকি এই পদক্ষেপ তাঁর। তাঁর দাবি, গিপ্পী সলমনের ভাল বন্ধু। তাই ভাইজানকে বার্তা দিতেই নাকি গিপ্পীর বাড়ির সামনে গুলি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
বাড়ির সামনে গুলি চলা নিয়ে এ বার মুখ খুললেন গিপ্পী নিজে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গিপ্পী জানান, সলমন নাকি মোটেই তাঁর বন্ধু নন। এমনকি গিপ্পীর দাবি, সলমনকে নাকি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেনও না তিনি। গিপ্পী জানান, মাত্র দু’বার কাজের সূত্রে সলমনের সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। পঞ্জাবি গায়কের কথায়, ‘‘আমার এক ছবির প্রযোজক সলমনকে ছবির ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে ডেকেছিলেন। সেখানে আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তার আগে এক বার ‘বিগ বস্’-এর সেটে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সলমনের সঙ্গে আমার তেমন কোনও বন্ধুত্ব নেই। আমি জানি না, কেন তাঁর উপর জমে থাকা রাগের খেসারত আমাকে দিতে হচ্ছে।’’
এ দিকে গিপ্পীর বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনার পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করে ঘটনার দায় স্বীকার করেন লরেন্স। একাধিক বার সলমন খানের মতো তাবড় তারকাকে নিশানা করেছেন তিনি। একাধিক বার ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন লরেন্স। এ দিকে গিপ্পী আবার সলমনকে ভাই বলে মনে করেন বলে তাঁর ধারণা। তাঁর বাড়ির সামনে হামলা যে পরোক্ষে সলমনের প্রতি বার্তা, সে কথাও জানান লরেন্স। তিনি লেখেন, ‘‘সলমনকে তো তুমি তোমার ভাই মনে করো। তা হলে এ বার ‘ভাই’ এসে তোমাকে বাঁচাক। এই বার্তা সলমনের জন্যেও। দাউদ তোমাকে রক্ষা করবে, এটা ভেব না। তোমাকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’’ এরই সঙ্গে লরেন্স লিখেছেন, ‘‘সিধু মুসে ওয়ালার মৃত্যুর পর তোমার নাটকীয় মন্তব্য কারও অগোচরে নেই। ও (সিধু) কেমন মানুষ ছিল, তা আমরা সকলেই জানি।’’ তবে এই হামলাকে নেহাতই প্রথম ঝলক হিসাবে উল্লেখ করেছেন লরেন্স। তাঁর কথায়, ‘‘তুমি যে কোনও দেশে আশ্রয় নিতে পারো। কিন্তু মনে রেখো, মৃত্যুর জন্য কোনও ভিসা লাগে না।’’