২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছিল রীতেশ-জেনেলিয়ার। তাঁদের প্রেমকাহিনি বলিউড ছবিকেও হার মানাবে। ছবি: সংগৃহীত।
এক দশক গৃহবধূর জীবনযাপন করে ফের অভিনয়ে ফিরছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। আসন্ন মরাঠি ছবি ‘বেদ’ দিয়ে প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত অভিনেত্রী। ছবিটি পরিচালনা করেছেন তাঁর স্বামী রীতেশ দেশমুখ।
অভিনয় ছেড়ে ঘরকন্নার কাজ! কেমন ছিল এই দশটি বছর? জানতে চাওয়া হয়েছিল জেনেলিয়ার কাছে। জবাবে চমকে দিলেন তিনিও। তাঁর মতে, সবচেয়ে কঠিন কাজ হল সংসার সামলানো। দুই পুত্র এবং স্বামীর কাছাকাছি থেকে দশ বছর ব্যয় করেও তিনি তেমন কোনও অবদান রাখতে পারেননি বলে মনে করছেন। বললেন, “পরিবারের জন্য কিছুই তেমন করতে পারিনি। দশ বছর গৃহবধূ থেকে বুঝলাম, ঘরকন্না খুব কঠিন কাজ। আমি শিখে উঠতে পারলাম না। সবাইকে ভাল রাখা বড় দায়িত্ব।”
দাম্পত্যে কর্মজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, এ কথা আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন জেনেলিয়া ডি’সুজা। সব ভূমিকাই চ্যালেঞ্জিং। নানা ভাবে জীবনকে আবিষ্কার করতে চান তিনি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের ১০ বছর পূর্ণ হয়েছিল রীতেশ-জেনেলিয়ার। তাঁদের প্রেমকাহিনি বলিউড ছবিকেও হার মানাবে।
‘তুঝে মেরি কসম’-এর সেটে দেখা হয়েছিল দু’জনের। এবং এক দশকেরও বেশি সময় পার করে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধেন। পথ নেহাত সহজ ছিল না। পরিবারের ইচ্ছে-অনিচ্ছাকে অগ্রাধিকার দিতে গিয়ে প্রবল টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে! লোকে সাবধান করেছিল অভিনেত্রীকে। তা সত্ত্বেও রীতেশই ছিলেন তাঁর পছন্দ। প্রিয় মানুষে ডুবেই মণিমাণিক্যের সন্ধান পেয়েছিলেন জেনেলিয়া। বছর শেষে সেই সুখী জীবন ফিরে দেখলেন ‘জানে তু ইয়া জানে না’-র অভিনেত্রী। ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সাল থেকে এত দিনের সফর। তাঁকে ভালবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন রীতেশ। দুই পুত্র, রাহেল এবং রিয়ানও তাঁদের জীবনে উপহারের মতো। শুধু কি তাই? জেনেলিয়ার ঝুলি আবারও ছবিতে ভরে উঠছে।
দাম্পত্যজীবন শুরুর পরই অভিনয় থেকে বিরতি নিয়েছিলেন জেনেলিয়া। তাঁর সিদ্ধান্তে আহত হন অনুরাগীরাও। তবে জেনেলিয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘সত্যি বলতে, যখন বিয়ে করি, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, পরিবারকেই সময় দেব। কিন্তু তার আগে আমি অনেক কাজ করেছি। হিন্দি ছবি যত না করেছি, দক্ষিণী ছবিতে বেশি কাজ করেছি। তাই আমার মনে হয়েছিল, এ বার বিরতি দরকার। তখন পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে চেয়েছিলাম। তার পর দুই সন্তান এল। আমার এই জীবনে বাঁধা পড়ে থাকতে ভালই লাগছিল। তার মানে এই নয় যে, আমি আর কাজ করতে পারব না। এখন তো কাজের ধরন বদলে গিয়েছে।’’
জেনেলিয়া জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে এখন বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছেন। তাঁর মনে হয়, অনেক রকম কাজ রয়েছে যাতে অভিনেতা প্রয়োজন হয়, মুখ নয়। এই সেই সময় যখন আবার কাজে ফিরতে ভাল লাগবে তাঁর।