সুশান্তের কেরিয়ার নষ্টের কর্মফল ভোগ করছেন রণবীর, দাবি কমল আর খানের। ছবি- সংগৃহীত।
কমল আর খান ও বিতর্ক যেন একে অপরের সমার্থক। বিতর্কিত মন্তব্য করে বলি-তারকাদের ক্রমাগত বিদ্ধ করাই যেন তাঁর কাজ। তাঁর নিশানায় কখনও সলমন খান, কখনও শাহরুখ খান,আবার কোনও সময় অক্ষয় কুমার। তবে এ বার সকলকে ছেড়ে রণবীর সিংহের পিছনে পড়লেন স্বঘোষিত চিত্র সমালোচক কমল আর খান।
বড়দিনে রণবীরের ‘সার্কাস’ ছবিটি মুক্ত পেয়েছে। তবে সে ছবির ফলাফল বেশ খারাপ বক্স অফিসে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন কেআরকে। তাঁর দাবি, সুশান্ত সিং রাজপুতের কেরিয়ার শেষ করেছেন রণবীর। এ বার সেই শাস্তি ভোগ করছেন অভিনেতা।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়োয় কেআরকে রণবীর সিংহ এর উপর সুশান্তের কেরিয়ার নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। সার্কাস’-এর প্রসঙ্গে টেনে তিনি দাবি করেন, ‘রণবীর সিংহের বলিউড কেরিয়ার খতম!’ কারণ রণবীর ফ্লপের হ্যাটট্রিক করলেন। অভিনেতার শেষ দু'টি ছবি ‘৮৩’ এবং ‘জয়েশভাই জোরদার’ দর্শকের মনে দাগ কাটতে ব্যর্থ। ‘সার্কাস’ ছবিটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন দর্শক। কেআরকে-র মতে, এ সবই রণবীরের কর্মফল। যশরাজের 'ঘরের ছেলে' হয়ে সুশান্তের ছবি কেড়েছিলেন। তাতেও যখন হয়নি, সুশান্তের হাত থেকে ‘রাম-লীলা’র মতো ছবির সুযোগ ছিনিয়ে নেন রণবীর। প্রসঙ্গত, মায়ানগরীতে একসময় শোনা গিয়েছিল, ‘রাম-লীলা’ ছবির জন্য নাকি সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর প্রথম পছন্দ ছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তবে নায়িকা দীপিকা চেয়েছিলেন তাঁর বিপরীতে নায়ক হবেন রণবীর সিংহ। অন্য দিকে যশরাজের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ থাকায় সুশান্তকে ছাড়তে চাননি আদিত্য চোপড়াও। শেষমেশ ভন্সালীর সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক হিট দিয়েছেন রণবীর। অভিনেতার কেরিয়ারের মোড় ঘুড়িয়েছেন পরিচালক— এ কথা বললে বাড়াবাড়ি হবে না।
এই ভিডিয়োয় কমল আর খান বলেন, ‘‘কর্ণ জোহর ও আরও অনেকে মিলে সুশান্তের কেরিয়ার ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন। তবে একে বলা যায়, কর্মফল। এখন তাঁদের ছবি দেখছেন না দর্শক।’’ কমলের মতে, রণবীর সিংহের ছবিতে প্রায় ৬০০কোটি টাকার ভরাডুবি হয়েছে। অভিনেতার ৩টি ছবি ব্যর্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, আগামী ছবি 'রকি অউর রানি কি প্রেমকাহানি'-ও চলবে না। কমল আর খানের কথায়, ‘‘রণবীর সিংহের দশা বিবেক ওবেরয়ের থেকেও খারাপ হতে চলেছে।’’
দিন কয়েক আগেই ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর প্রসঙ্গ। এক মর্গকর্মীর চাঞ্চল্যকর দাবিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে মায়ানগরীতে। এ বার কমলের এ হেন মন্তব্য নতুন কোনও বির্তকের জন্ম দেয় কি না, সেটাই দেখার!