প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। ফাইল চিত্র
অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার মৃত্যুরহস্যের তদন্ত চলছে। ঘটনায় অভিযুক্ত শীজ়ান খানকে আদালতের নির্দেশে আরও ১৪ দিন পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে। সক্রিয় হয়েছেন তাঁর পক্ষের আইনজীবীরাও। ইতিমধ্যে অভিনেতার দাবি, তাঁর নিজেরই জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। কেউ তাঁকে বিষ খাইয়ে হত্যা করতে চায় বলে তাঁর ধারণা। সে জন্য হাজতে থাকাকালীন বাড়ির তৈরি খাবার খেতে চান বলে আবেদন জানিয়েছেন শীজ়ান ।
প্রেমিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের ১৫ দিন পর, গত ২৪ ডিসেম্বর, সিরিয়ালের সেটে জীবন শেষ করে দিয়েছেন তুনিশা। যে ঘটনা বিনোদন দুনিয়ায় আলোড়ন ফেলেছে। ‘আত্মহত্যা’ বলে মানতে পারছেন না তুনিশার মা বনিতা শর্মা। তাঁর দাবি, প্রেমিক তথা সহ-অভিনেতা শীজ়ানই তুনিশার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তাঁর দাবি, মাদক সেবন করতেন অভিনেতা। আরও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে থেকে তুনিশাকে ঠকিয়েছেন বলেও অভিযোগ। শুধু তা-ই নয়, তুনিশাকে বিয়ের প্রস্তাবও নাকি দিয়েছিলেন শীজ়ান। তুনিশার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ গ্রেফতার করেছিল শীজ়ানকে।
তবে শীজ়ান এখন পুলিশের হেফাজতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান। তিনি বিশেষ রক্ষীর বন্দোবস্ত চেয়েছেন। সঙ্গে ঘরে তৈরি খাবার। কেন ভয় পাচ্ছেন অভিনেতা, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। যা নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে।
তুনিশা কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি বলেই সন্দেহ দানা বাঁধছিল। ঘটনার ৫ দিন পর সিরিয়ালের সেট থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি চিরকুট। যাতে লেখা, “আমাকে সহ-অভিনেত্রী হিসাবে পাওয়া ওর সৌভাগ্য।” সেই কাগজে তুনিশার নাম তো ছিলই, তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক শীজ়ান খানেরও নাম ছিল।
যা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, তুনিশা তাঁর প্রেমিকের সম্পর্কেই এমন মন্তব্য করেছিলেন। সেই চিরকুট হাতে পেয়ে অভিনেত্রীর মৃত্যুরহস্য আরও তলিয়ে দেখছেন পুলিশকর্তারা।
‘আলিবাবা: দস্তান-এ-কাবুল’ সিরিয়ালের শুটিং চলছিল। নায়ক-নায়িকা ছিলেন শীজ়ান আর তুনিশা। সেই ধারাবাহিকের সেটেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছিলেন তুনিশা। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার কিছু ক্ষণ আগেই তুনিশা আর শীজ়ানকে মেকআপ রুমের ভিতরে কথা বলতে দেখা গিয়েছিল। কোনও কিছু নিয়ে তর্কাতর্কি চলছিল তাঁদের মধ্যে। দু’জনকেই উত্তেজিত দেখাচ্ছিল। তার ১৫ মিনিটের মধ্যেই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেন, এমনই জানাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়াও, তাঁদের কথোপকথনের ২৫০টি হোয়াটসঅ্যাপ পেজ বার করেছেন তদন্তকারীরা। সব চ্যাট খতিয়ে দেখা হচ্ছে।