‘বিগ বস্’-এর ঘরের অন্য এক প্রতিযোগীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়ালেও সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি, ২০২০ সালে চার হাত এক হয় গওহর এবং জাইদ দরবারের। —ফাইল চিত্র
মডেল-অভিনেত্রী গওহর খান অন্তঃসত্ত্বা। প্রসবের দিন কাছে এসে পড়ল, তবু অপ্রিয় পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে তাঁকে। সম্প্রতি টুইটারে তাঁর প্রশ্নোত্তর পর্ব ‘আস্ক মি এনিথিং’-এ অনুরাগীদের মাঝে এলেন গওহর। এখানে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যা খুশি প্রশ্ন করা যায় তাঁকে। এক অনুরাগীর সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে গওহর জানালেন, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও কটূক্তি শুনতে হয়েছে তাঁকে।
তবে নেতিবাচকতাকে মনে ঠাঁই দেন না গওহর। এক অনুরাগী তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “লোকের আলটপকা মন্তব্যে আপনার হতাশ লাগে না?” এর জবাবে গওহর জানান, তিনি নিজের কাজ করে যেতে চান। শান্তিরক্ষায় নিজেই ক্ষমা চাওয়ার পক্ষপাতী তিনি। গওহরের কথায়, “আমি সব ক্ষেত্রেই নিজের ভুল স্বীকার করে নিই। এর পরেও নেতিবাচক মানসিকতার জন্য কেউ ভিত্তিহীন সমালোচনা করে, তখন উপেক্ষা করতে হবে।”
গওহর জানান, ভালবাসাই তাঁর ধর্ম। কিছু দিন আগেই মা হওয়ার খবর অনুরাগীদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন গওহর। ভরা মাসে গর্ভস্থ ভ্রূণের এবং মায়ের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। সঠিক সময়ে স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামের বিশেষ প্রয়োজন। তা সত্ত্বেও রমজান মাসে রোজা রাখছেন তিনি।
সেই রোজা পালন করা নিয়েও কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর একটি ভিডিয়ো দেখে এক অনুরাগী প্রশ্ন করে বসেন, “এমন সংযম, কষ্ট সাধারণ মানুষ সহ্য করতে পারলেও অন্তঃসত্ত্বা, হবু মায়েদের কি এমন ভাবে একটানা উপোস করা উচিত? তাঁদের জন্য কি ইসলাম ধর্মে আলাদা কোনও নিয়ম আছে?”
অনুরাগীর প্রশ্নের উত্তরে গওহর বলেন, “নিশ্চয়ই। সন্তানসম্ভবা, অসুস্থ এবং এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভ্রমণরত ব্যক্তিরা রোজা রাখতে না পারলে কোনও অসুবিধা নেই। ইসলামে তাঁদের জন্য ছাড় দেওয়া আছে। তার বদলে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী দরিদ্র মানুষদের রোজা ভাঙার পর খাওয়াতে পারেন।” গওহর জানান, তিনিও দুঃস্থ মানুষদের খাইয়ে নিজের রোজা রাখছেন। তাঁর মতে, “সবই আল্লাহ্র ইচ্ছা।”
টেলিভিশন, ওটিটি, বড় পর্দা, সব ক্ষেত্রেই চেনা মুখ গওহর। ২০১৩ সালে ‘বিগ বস’-এ অংশগ্রহণের সুবাদে আরও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। সে সময়ে ‘বিগ বস্’-এর ঘরের অন্য এক প্রতিযোগীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়ালেও সেই সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। তার পর ২০২০ সালে চার হাত এক হয় গওহর এবং জাইদ দরবারের।