২০২৩ সালের আকাদেমি পুরষ্কার অনুষ্ঠানে সেরা আন্তর্জাতিক কাহিনিচিত্র বিভাগে প্রতিযোগিতায় শামিল ‘চেলো শো’।
গুজরাতি ছবি ‘চেলো শো’-কে অস্কারে পাঠানো নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলল ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ। ফিল্ম ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্ত তাঁরা মানতে নারাজ। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি ভারতীয় ছবিই নয়। তাই অস্কারে পাঠানোর ব্যাপারে পুনরায় ভেবে দেখা হোক।
ইংরেজি ভাষার ছবি ‘চেলো শো’ মূলত গুজরাতের এক প্রান্তের গল্প। এক বালকের বয়ঃসন্ধি ঘিরে আবর্তিত হয়েছে আখ্যান। সঙ্গে সূক্ষ্ম জাদুর ছোঁয়া। প্রায় আত্মজীবনীমূলক উপকথা। ২০২৩ সালের অ্যাকাডেমি পুরষ্কার অনুষ্ঠানে সেরা আন্তর্জাতিক ছবি বিভাগের প্রতিযোগিতায় শামিল এই একমাত্র ভারতীয় কাজ। পরিচালনায় প্যান নলিন।
যদিও ফেডারেশন অফ ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এমপ্লয়িজ-এর সভাপতি বি এন তিওয়ারির দাবি, “এ ছবিকে ভারতীয় বলা যায় না। এই নির্বাচন পদ্ধতিও ঠিক লাগছে না। তা হলে ‘আর আর আর’ কিংবা ‘কাশ্মীর ফাইলস’-এর মতো সত্যিকারের ভারতীয় ছবিগুলোকে কী বলা হবে? বিচারকরা মাঝখান থেকে একটি ছবি বাছলেন, যেটা কি না সিদ্ধার্থ রায় কপূর কিনেছেন!”
তিওয়ারি চান, আবার মনোনয়ন পদ্ধতি শুরু হোক নতুন করে। আবার বিচার হোক। এখনকার জুরি সরে যাক। তবেই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব বলে তিনি মনে করছেন। তাঁর কথায়, “যদি ‘লাস্ট ফিল্ম শো’ ওরফে ‘চেলো শো’ অস্কার মঞ্চে পাঠানো হয় তবে ভারতের পক্ষে সেটা খারাপ হবে। বিশেষ করে যে দেশে সবচেয়ে বেশি ছবি তৈরি হয়, সে দেশের জন্য এটা দুর্ভাগ্যজনক। ওঁরা (জুরি সদস্যরা) বহু বছর ধরে রয়েছেন। অর্ধেক ছবি ঠিক করে দেখেনও না।” তিওয়ারি জানান, তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরকেও এ বিষয়ে লিখিত আবেদন জানাবেন।
১৭জনের জুরি মোট ১৩টি ছবির মধ্যে থেকে এই ছবিটি বেছে নিয়েছিলেন। তাঁদের তরফ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্য চাওয়ায়, তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু জনপ্রিয়তা একটা ছবির গুণগত মানের মাপকাঠি হতে পারে না।
‘চেলো শো’-এর গল্প গুজরাতের, যেখানে বেড়ে উঠেছেন নলিন। তার পর তিক্ত-মধুর পথ চলা। মূল চরিত্র ‘সময়’-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন দু’জন। ছোটবেলা এবং পরিণত বয়স মিলিয়ে দর্শকের আকর্ষণ ধরে রাখেন সারজিও লিওনি এবং টেরেন্স মালিক।আগামী ১৪ অক্টোবর দেশের সমস্ত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা এই ছবির।