অনির্বাণ,অন্বেষা, মমতা।
দুগ্গা এল ঘরে, কলাবউ স্নানে অনির্বাণ, মায়ের পায়ে অঞ্জলি মমতা শঙ্করের
ষষ্ঠীতে বোধন। সপ্তমীতে কলা বউ স্নান দিয়ে ঘট স্থাপন, সংকল্প। অষ্টমীর অঞ্জলি। নবমী নিশি পোহায়ো না, বলতে বলতে দশমীর কড়া নাড়া। সবটাই বিদেশেও হয়, বহু যুগ ধরে। কিন্তু তিথি ধরে না। ‘উইক এন্ড স্পেশ্যাল’ হিসেবে। বাংলা, কল্লোলিনী তিলোত্তমা কোথাও যেন সেই সিল্যুয়েটে সামান্যতম মিসিং।
দৈবের বশে প্রবাসে এ বার সেই আনন্দেও করোনা মেঘের কালো ছায়া। অনেক জায়গাতেই আংশিক লকডাউন। ফলে, পুজো বন্ধ। প্রবাসী বাঙালিরা কি বচ্ছরান্তের সেরা উৎসব থেকে একেবারেই বঞ্চিত থাকবেন?
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ঠাকুর দালানের বাইরে কবিতা পড়ছেন
এই ভাবনা থেকেই ‘জে এস ইভেন্টস’-এর কর্ণধার জোনাই সিংহের মাথায় একটি ভাবনা আসে।আনন্দবাজার ডিজিটালকে তিনি বলেন, “৩০ বছর ধরে আমেরিকায় আমি।দেশ থেকে শিল্পীরা এসে পুজোয় প্রবাসী বাঙালিদের নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুজোর আমেজ তৈরি করে দেন। এ বার সে সম্ভাবনাও নেই।তাই এমন একটা ভাবনা ভাবলাম সকলে মিলে যেখানে পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা সব বাঙালিরা দুর্গা পুজোর আমেজ উপলব্ধি করবে। সেখান থেকেই ‘পুজোর জলসা’-র সূত্রপাত।”
এই ভিন্ন ধারার উদ্যোগে এগিয়ে এসছেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিতের মতো ব্যক্তিত্ব।সঙ্গীত আয়োজন, ভাবনা থেকে পরিচালনা সব কিছুর দায়িত্বেই ছিলেন তাঁরা। গানে অংশ নিয়েছেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ঊষা উত্থুপ, শ্রাবণী সেন, সোমলতা আচার্য, অন্বেষা, দুর্নিবার, দোহার। পুজোর এই উপহার, ‘দুগ্গা এল ঘরে’শুধু অনলাইন কোনও অনুষ্ঠান হয়ে থেকে যায়নি। এখানে ভার্চুয়ালি পুজোর আয়োজন দেখতে দেখতে প্রবাসীদেরও মন ভরে যাবে। তাঁরা দেখবেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ঠাকুর দালানের বাইরে কবিতা পড়ছেন। মমতা শঙ্কর দুর্গা ঠাকুরকে বরণ করে নিচ্ছেন আর সোমলতা, অন্বেষা সন্ধি পুজোর প্রস্তুতিতে হাত লাগাচ্ছেন। এমন ছবিই দেখার জন্যই যেন বাঙালি সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে। প্রবাসের মানুষ ঘরে ফেরার আনন্দ খুঁজে পাবেন এই ছবি-কবিতা-গানে।আনন্দবাজার ডিজিটালকে এই মিউজিক ভিডিয়ো নিয়ে বলতে গিয়ে এমনটাই জানালেন সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ।
ছোট্ট দুর্গা
ষষ্ঠীর বোধন থেকে দশমীর বিসর্জনের সমস্ত মহূর্ত, অষ্টমীর অঞ্জলি হয়ে সন্ধিপুজোর আরতি, চোখ ভরে দেখতে পাবেন অনলাইনে, দাবি প্রযোজক জোনাই সিংহের। সঙ্গে থাকছে বাঙালির নস্টালজিয়া, পুজোর জলসা। বাংলা সিনেমা, সংস্কৃতির সমস্ত তারা উপস্থিত এক ছাদের নীচে। রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। পুজোর অঞ্জলিতে, কলা বউ স্নানে।ভিডিয়োর পোশাক ভাবনায় উৎসব গঙ্গোপাধ্যায় যিনি সাজিয়ে তুলেছেন দুর্গা পুজোর কুমারী থেকে ঠাকুর দালান।
কার্তিকের শারদপ্রাতেই সপ্তমী থেকে এই সুরের আলো সকল ধরার মাঝে ছড়িয়ে পড়বে পুজোর জলসা হয়ে।