(বাঁ দিক থেকে) রণবীর সিংহ, অজয় দেবগন, রোহিত শেট্টি। ছবি: সংগৃহীত।
রোহিত শেট্টি ‘সিংহম’ সিরিজ়ের নতুন ছবির কাজ শুরু করতে চলেছেন। এ দিকে তার আগেই তার ছবি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। ‘সিংহম’-এর মতো ছবিতে যে অতি বাস্তবতা দেখানো হয়, তা সমাজের প্রতি ক্ষতিকর বার্তা পৌঁছে দেয় বলে মনে করছেন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি গৌতম পটেল। প্রকাশ্যে তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনা দেখা দিয়েছে।
শুক্রবার, ইন্ডিয়ান পুলিস ফাউন্ডেশনের তরফে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে গৌতম পুলিশ কেন্দ্রিক হিন্দি বাণিজ্যিক ছবি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাঁর মতে, পুলিশকে নিয়ে রসিকতা বা পুলিশ মানেই অসৎ— সেটা ঠিক নয়। আর এই ধরনের মন্তব্য তা হলে বিচারক, রাজনীতিক বা সংবাদিকদের নিয়েও করা যেতে পারে। বিচারপতির কথায়, ‘‘এই জন্যই ধর্ষণের অভিযুক্ত পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আর দর্শক ভাবেন এটাই হওয়া উচিত। উচিত বিচার করা হয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই?’’
এই ধরনের চিন্তাভাবনা ভারতীয় ছবিতে আরও বেশি করে দেখানো হচ্ছে বলেই মনে করেন গৌতম পটেল। তাঁর কথায়, ‘‘শান্ত একটু ভিরু প্রকৃতির বিচারকদের সঙ্গে ছবিতে পুলিশ খারাপ ব্যবহার করে। অভিযুক্ত ছাড়া পাওয়ার জন্য তারা আদালতকে দোষী সাবস্ত করে। তার পর নায়ক একাই আইন নিজের হাতে তুলে নেয়!’’ এরই সঙ্গে তিনি ‘সিংহম’ ছবির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বলেন, ‘‘ছবির শেষে দেখা যায় প্রকাশ রাজের উপর সব পুলিশ চড়াও হয়ে দুষ্ঠের দমন করা হল। কিন্তু সেটা কি প্রকৃত বিচার?’’ এই ধরনের বার্তা সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলেই তিনি মনে করেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিচার ব্যবস্থার একটা পদ্ধতি রয়েছে।’’ গৌতম পটেলের বক্তব্য প্রসঙ্গে রোহিত অবশ্য এখনও কোনও প্রতিক্রিয় দেননি।
২০১১ সালে মুক্তি পায় রোহিত শেট্টি পরিচালিত ‘সিংহম’। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন অজয় দেবগন। সিক্যুয়েল ‘সিংহম রিটার্নস’ মুক্তি পায় তিন বছর পর। রোহিতের পুলিশ ব্রহ্মাণ্ডের পঞ্চম ছবি ‘সিংহম এগেইন’-এর শুটিং সম্প্রতি শুরু হয়েছে। অজয় ছাড়াও এই ছবিতে থাকছেন অক্ষয় কুমার এবং রণবীর সিংহ।