নীনাই কি মাসাবার অনুপ্রেরণা? ছবি: সংগৃহীত।
ফ্যাশন ডিজ়াইনার হিসাবে কেরিয়ার শুরু করলেও মাসাবা গুপ্তের এখন ইচ্ছে বদলে যাচ্ছে মাকে দেখে। নীনা গুপ্ত যদি এই বয়সে এসে নতুন উদ্যমে অভিনয় করে যেতে পারেন, তা হলে মেয়ে হয়ে তিনিই বা পারবেন না কেন!
নীনার যখন বয়স অল্প ছিল, পছন্দমতো চরিত্র পাননি। বরং তাঁকে বলা হয়েছিল যে, কুন্দন শাহের ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’-তে কাজ করলে মূল চরিত্রে কাজ পেতে সমস্যা হবে। নীনা এর পর সেই ছবিতে পঙ্কজ কপূরের সেক্রেটারি ‘প্রিয়া’র চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মাসাবা ভাগ করে নিলেন পুরনো কথা। ইন্ডাস্ট্রিতে মায়ের কঠোর সংগ্রামের দিনগুলি কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। বললেন, “মা আমাকে এক বার বলছিল, ‘জানে ভি দো ইয়ারোঁ’র কাজে রাজি হওয়ার পর সবাই কত কী পরামর্শ দিয়েছিল! সবাই মাকে বলেছিল, ‘আপনি যদি এই ধরনের লোক হাসানো চরিত্রে অভিনয় করেন, কোনও দিন নায়িকা হতে পারবেন না’। আমার মনে হয় কথাটা সত্যি। ৬০ বছর বয়সে ‘বাধাই হো’-তে প্রথম মূল চরিত্রে অভিনয় করে আমার মা।”
শুধু তা-ই নয়, কাজ খুঁজছিলেন— এ কথা লোককে জানাতেও কুণ্ঠা ছিল না নীনার। তিনি যখন সমাজমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছিলেন সেই মর্মে, গর্বিত হয়েছিলেন মাসাবাও। ২০১৭ সালে নীনা ভাবতেন, দিল্লিতে আছেন বলে লোকে তাঁকে ভুলে গিয়েছে। কিন্তু ২০২২ সালে ছবিটি একেবারেই আলাদা। তিনি এখন স্বমহিমায় মুম্বইয়ে।
মায়ের সাহসিকতায় আপ্লুত মাসাবার দাবি, “আমিও অভিনয় করব। মাকে দেখে বুঝেছি, আমিও অনেক কিছু করতে চাই। অনেক সাধপূরণ বাকি থেকে গিয়েছে।”
২০০৮ সাল। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানার পর ৪৯ বছর বয়সে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন নীনা। নতুন করে কি ভালবাসায় ডুবতে পেরেছিলেন অভিনেত্রী? নীনা জানান, মেয়ের প্রতি যে টান অনুভব করেন স্বামীর প্রতি কখনওই তা আসেনি। একমাত্র ভালবাসা অনুভব করেছেন মাসাবার জন্যই।
নীনার হাতে এখন একগুচ্ছ কাজ। পরের বছর ‘গোয়ালিয়র’ ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। চলতি বছর ২টি ছবিতেই অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘গোয়ালিয়র’-এও অমিতাভের সঙ্গেই পর্দা ভাগ করবেন নীনা।