ফারহান আখতার এবং রিচা চাড্ডা।
এক দম্পতির শয্যাকক্ষে ঢুকে পড়ল ৪ যুবক। স্বামীকে বলা হল, ‘‘অনেক ভোগ করেছ, এ বার আমাদেরও ছাড়ো।’’ তাদের শয্যার পাশে সুগন্ধির বোতল রাখতেই তরুণীকেও বেশ আগ্রহী দেখাল। আর ৪ যুবক যেন নিজেদের মধ্যে বুঝে নিতে চাইল, কে আগে পাবে ‘ভোগ’-এর সুযোগ!
বাস্তবে নয়, এটি বিজ্ঞাপনের ভিডিয়ো। আর তাকে ঘিরেই রাতারাতি শোরগোল। এ রকমই আর একটি ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শপিং মলে এক তরুণীর দিকে এগিয়ে আসছে চার যুবক। তরুণীকে আপাদমস্তক পরখ করে তার সঙ্গে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে। তার পর মন্তব্য, ‘‘ও একা মেয়ে। আর আমরা ৪ জন। চল, কে আগে স্বাদ নিবি?’’
তরুণীর অঙ্গ জুড়ে সুগন্ধির সৌজন্যেই নাকি এত কাণ্ড! এমন দু’টি ভিডিয়ো সম্প্রচার করে চলছিল প্রসাধনী সংস্থার সুগন্ধির বিজ্ঞাপন! যা নিয়ে তোলপাড় নেটমাধ্যমে। এই ধরনের বিজ্ঞাপন গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধকে উস্কে দিতে চাইছে বলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন অনেকেই। যে তালিকায় সামিল বলিউড তারকারাও। জনরোষের মুখে পড়ে সরকারের তরফে বিজ্ঞাপনটি মুছেও ফেলা হয় নেট দুনিয়া থেকে।
কিন্তু এক বার যখন হয়েছে বার বার হবে। তাই ওই প্রসাধনী সংস্থাকে একেবারে নিষিদ্ধ করে দেওয়ার পক্ষপাতী অভিনেতা ফারহান আখতার এবং রিচা চাড্ডা। শনিবার ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর নায়ক গর্জে উঠেছেন টুইটারে। ফারহানের বক্তব্য, ‘বিকৃত মানসিকতা ছাড়া এ ধরনের বিজ্ঞাপন তৈরি হয় না। এ সমস্ত দুর্গন্ধযুক্ত বডি স্প্রের বিজ্ঞাপনের অনুমোদন যারা করছে, তারাও ধর্ষকামী। ছিঃ!'
একই ভাবে সরব রিচাও। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। ভেবেচিন্তে বানানো চিত্রনাট্য। সিদ্ধান্ত যারই হোক, খুবই দুশ্চিন্তার ব্যাপার। এরা ভাবছেটা কী! গণধর্ষণ খুব মজা করার বিষয়? মুখরোচক প্রসঙ্গ?’’ প্রসাধনী সংস্থাটিকে এখনই নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন ‘মসান’-এর অভিনেত্রীও। সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করার দাবিও তুলেছেন রিচা।
শুক্রবার, ‘দিল্লি কমিশন ফর উইমেন’-এর চেয়ারপার্সন স্বাতী মলিওয়ালও বিজ্ঞাপনগুলির বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তিনি বলেন, “কী করুণ অবস্থা! এরা গণধর্ষণ প্রচার করতে চাইছে? আমি সংস্থার বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার জন্য দিল্লি পুলিশকে নোটিস জারি করছি।’’ বিজ্ঞাপন অবিলম্বে বন্ধের আইনি দাবি জানিয়েছিলেন তিনিই।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।