—প্রতীকী চিত্র।
কলকাতা ছেড়ে মুম্বই অনেক দিন আগেই পাড়ি দিয়েছিলেন কন্যে। মুম্বইয়ে ধীরে ধীরে নিজের জগৎ তৈরি করেছেন। সংখ্যায় কম হলেও উন্নত মানের ছবি করায় বিশ্বাসী এই অভিনেত্রী। ব্যক্তিগত জীবনেও কি তাই? নিজের প্রেমের সম্পর্কগুলি নিয়ে অবশ্য ঢাক পিটিয়ে কোনও দিনই প্রচার করেননি তিনি। সকলের চোখের আড়ালে সযত্নে সরিয়ে রাখেন ব্যক্তিগত সমীকরণগুলি। তবে এ বার একটু যেন অগোছালো হয়ে গেল বিষয়টা। সাগরপার ছেড়ে ঘরে ফিরেছিলেন। দিব্যি মজা করে কাটছিল তাঁর দিনগুলি। হাসি-মজার মধ্যেই কখন যেন মন দিয়ে ফেললেন অভিনেত্রী। তা-ও আবার টলিপাড়ার তারকাসন্তানকে। ব্যস! এ সব খবর কি বেশি দিন ঢেকে রাখা যায়? স্টুডিয়োর ফাঁক গলে পাঁচকান হতে বেশি সময় লাগেনি।
তবে প্রেম করছেন, সে তো ভাল কথা। যতই হাজার-হাজার মাইল উড়ে এসে প্রেম করতে হোক না কেন, ভালবাসার টানে লোকে তো কত কী-ই করে! টলিপাড়ার অন্দরে ফিসফাস, তাই ইদানীং কলকাতায় নাকি যাতায়াত বেড়েছে অভিনেত্রীর। দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রেস্তরাঁয় নায়কের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেই বেশি দেখা যাচ্ছে এই নায়িকাকে। মনের মানুষ যে তাঁর চেয়ে বয়সে বেশ খানিকটা ছোট, তা অবশ্য কোনও বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। প্রেমে কি আর স্থান-কাল-বয়স— এ সব নিয়ে কেউ হিসাব করতে বসে!
যদিও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নায়িকা জানিয়েছিলেন, তিনি নাকি বহু বছর ধরে ‘সিঙ্গল’, সূত্র বলছে, এখন তাঁর ‘রিলেশনশিপ স্টেটাস’ বদলেছে। যদিও নিজেদের সম্পর্কের কথা এখনই সকলের সামনে স্বীকার করতে রাজি নন তাঁরা। লোকচক্ষুর আড়ালেই নাকি চলছে চুটিয়ে প্রেম। বলিপাড়ায় অসমবয়সি প্রেমের অনেক উদাহরণ দেখেছেন দর্শক। তবে টলিপাড়ায় সহজে দেখা যায় না। যদিও এমন অনেক প্রেম হয় যা নিঃশব্দে শেষও হয়ে যায়। তবে এ বার আর চুপচাপ নয়! পুজোর আগে মুম্বইয়ের অভিনেত্রীর সঙ্গে তারকা-সন্তানের সম্পর্ক আরও জমিয়েছে পুজোর প্রেমের গল্প।