রাজা-নবনীতা। — নিজস্ব চিত্র।
চারিদিকে হইহই কাণ্ড। ব্যস্ততা। প্রায় জোড়া বিয়ে হতে চলেছে। মন্দির সাজানো হয়েছে ফুল দিয়ে। ব্রহ্মচারী পরিবারের দুই নাতির বিয়ে। স্বর্ণকুমার এবং আর্যকুমার। তাদের পরিবারের কেউ-ই বিয়ে করেননি। দাদুর বাণী, তাদের পরিবারে বিয়ে নাকি অভিশাপ। কিন্তু এ দিকে মন কি আর মানে। কলি এবং ইচ্ছে দুই বোন দুই ভাইয়ের প্রেমে হাবুডুবু। ‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালের বিয়ের দৃশ্যে সেট পড়েছিল নরেন্দ্রপুরের ভিতরে একটি মন্দিরে। কলির চরিত্রে দেখা যাচ্ছে নবনীতা দাসকে আর স্বর্ণকুমারের চরিত্রে অভিনয় করছেন রাজা গোস্বামী। বেশ অনেক বছর পর জুটি বাঁধছেন নবনীতা এবং রাজা। এত দিন পরে পুরনো জুটিকে কী ভাবে দেখা যাচ্ছে? খোঁজ নিতে শুটিংয়ে পৌঁছল আনন্দবাজার অনলাইন।
স্টুডিয়ো নয়, শুটিং হচ্ছে আউটডোরে। ফলে ভাড়া করা হয়েছিল চারটি বড় ভ্যানিটি গাড়ি। একটি গাড়িতে দু’টি করে দরজা। ভাগ করা আছে। একটি দরজায় টোকা দিতেই দেখা গেল সিরিয়ালের দুই বোন কলি এবং ইচ্ছেকে। দু’জনেই বিয়ের সাজে তৈরি। আর কিছু ক্ষণেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন। তার ফাঁকেই আনন্দবাজার অনলাইনকে কলি অর্থাৎ নবনীতা বললেন, “আবার রাজার সঙ্গে কাজ করছি। খুব উত্তেজিত লাগছে। কত বছর পরে ওর (রাজার) সঙ্গে কাজ করব। সেই ‘ছদ্মবেশী’ সিরিয়ালে একসঙ্গে কাজ করেছিলাম। আসলে একটা কমফোর্ট জ়োন তৈরি হয়ে গিয়েছিল তো! সেটা আবার ফিরে পেয়েছি।” এই সিরিয়ালের গল্প যেমনই হোক না কেন, কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হাসি এবং কমেডি।
‘বিয়ের ফুল’ সিরিয়ালে আর্যকুমার এবং ইচ্ছের চরিত্রে অভিনয় করছেন শৌভিক গঙ্গোপাধ্যায়-একতা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
একতা গঙ্গোপাধ্যায়ও কমেডি চরিত্রে অভিনয় করতে পেরে খুশি। ইচ্ছে ভালবাসে বক্সিং করতে। একতা বলেন, “ব্রহ্মচারী পরিবারের ছেলের প্রেমে পড়ার পর কী ভবিষ্যৎ হয় তার? সেটাই চরিত্র। এখানে বড়দের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। সেটাই ভাল লাগছে। দুলাল লাহিড়ি, রিমঝিম মিত্র, সুদীপা বসু-সহ অনেক সিনিয়র অভিনেতা রয়েছেন। তাঁদের থেকে অনেক কিছু শিখতে পারছি।” একতার সঙ্গে সহমত নবনীতাও। নায়িকা বললেন, “আমি কখনও কমেডি চরিত্রে অভিনয় করিনি। আমায় রোম্যান্টিক চরিত্রেই দেখেছেন দর্শক। তাই আরও উত্তেজিত আমি।”
নায়িকারা যখন ফ্লোরে যাওয়ার জন্য পুরো তৈরি, ঠিক তখন শুটিংয়ে ঢুকলেন অভিনেতা রাজা গোস্বামী। তাঁকে অনেক দিন পরে নায়কের চরিত্রে দেখবেন দর্শক। মাঝে বেশ কিছু সিরিয়ালে দেখা গেলেও মুখ্য চরিত্রে দেখা যায়নি তাঁকে। রাজার মতে, “আমার কাছে চরিত্রটা গুরুত্বপূর্ণ। তা মুখ্য কি না, সেটা খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। এই সিরিয়ালে রাজি হওয়ার প্রধান কারণ হল স্বর্ণকুমারের চরিত্র। যেখানে মজার মোড়কে গল্প বলার উপায় আছে। অনেক দিন পরে নবনীতার সঙ্গেও কাজ করছি সেটাও ভাল লাগছে।” নবনীতা এবং রাজা দু’জনেই নিজেদের জুটি নিয়ে আশাবাদী।