অহন শেট্টি ছবি ইনস্টাগ্রাম।
প্র: অভিনয়কে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কবে নিলেন?
উ: স্কুলের সাংস্কৃতিক ক্লাবে খুব সক্রিয় ছিলাম। নাটকে অভিনয় করেছি। যখন ক্লাস টেনে পড়ি, তখনই ঠিক করেছিলাম, অভিনয়কে পেশা হিসেবে বেছে নেব।
প্র: বাবার সঙ্গে শুটিংয়ে যেতেন?
উ: ছোটবেলা থেকেই গিয়েছি। তবে তখন অভিনয় নিয়ে ভাবতাম না। ‘দশ’, ‘ক্যাশ’-এর মতো ছবির শুটে বিদেশেও গিয়েছিলাম বাবার সঙ্গে। সেটে জমিয়ে ক্রিকেট খেলা হত। ওটাই ছিল আকর্ষণ।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে বাবা কী পরামর্শ দিলেন?
উ: আলাদা করে কিছু বলেননি। সব কাজে উৎসাহ দিয়েছেন। একটা কথা অবশ্য বলেন, ভাল অভিনেতা না হলেও, ভাল মানুষ যেন হতে পারি। বাবার কয়েকটা গুণও যদি আয়ত্ত করতে পারি, নিজেকে ভাগ্যবান ভাবব।
প্র: আপনার বাবা-মা, দাদু-দিদা সমাজে প্রতিষ্ঠিত নাম। পরিবারকে কতটা পাশে পেয়েছেন?
উ: এত দূর যে আসতে পেরেছি, সেটা পরিবারের কারণেই। আশা রাখি, আগামী প্রজন্মের মধ্যেও এই মূল্যবোধ থাকবে।
প্র: প্রথম ছবির জন্য আপনার প্রস্তুতি কেমন ছিল?
উ: ২০১৪ সাল থেকেই আমার প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কথা বলার ধরন থেকে ঘোড়সওয়ারির ক্লাস, গিটার শেখা... একসঙ্গে চলত। ‘তড়প’-এর জন্য শুটিংয়ের ছ’মাস আগে থেকেই বাইকে অ্যাকশন আর স্টান্টের বিশেষ প্রশিক্ষণ নিই। ছবিতে আমার বডি ডাবল ব্যবহার করা হয়নি।
প্র: তারকা-সন্তান মানেই তো কেরিয়ারের প্রথম দিন থেকে বাড়তি চাপ। আপনি সেই চাপ নিতে কতটা তৈরি?
উ: চাপ তো আছেই। কিন্তু সব কিছু দর্শকের হাতে। তাঁরা আমাকে গ্রহণ করলে কৃতজ্ঞ থাকব।
প্র: আপনি নাকি লাজুক প্রকৃতির। তারার (সুতারিয়া) সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সহজ হলেন কী ভাবে?
উ: আমি লাজুক এবং অন্যদের সঙ্গে মিশতে সময় লাগে। একবার ওয়ার্কশপে ‘ডার্টি পিকচার’-এর একটি দৃশ্য করতে বলা হয়েছিল আমাকে আর তারাকে। আমি রীতিমতো কাঁপছিলাম!
প্র: অ্যাকশন কি আপনার ইউএসপি হতে চলেছে?
উ: ট্রেলার রিলিজ় হওয়ার পর থেকেই আমাকে সকলে অ্যাকশন হিরোর তকমা দিয়েছে। আমি সব ধরনের চরিত্র করতে চাই।
প্র: আপনার জীবনে কাদের গুরুত্ব বেশি?
উ: আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং প্রেমিকা তানিয়া শ্রফ আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আথিয়ার (শেট্টি, বোন) সঙ্গে ছোটবেলায় খুব ঝগড়া করতাম। এখন আমরা ভাল বন্ধু। যারা আমাকে উৎসাহ দেয়, তারা পাশে থাকলে মনের জোর বাড়ে।
প্র: ছবিমুক্তির পরেই আপনার জীবন পাল্টে যাবে। ভেবেছেন তখন কী করবেন?
উ: ভবিষ্যৎ কেউ বলতে পারে না। বাবার কথা মেনেই চলব। মন দিয়ে কাজটুকু করে যাব।