রুমি
প্র: ‘চেহরে’ বানানোর পিছনে মূলত ভাবনা কী ছিল?
উ: বিগত ৩০ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। লোকে আমাকে চেনেন মূলত কমেডি জ়ঁরের জন্য। অনেক দিন ধরেই একটা বিষয় খুঁজছিলাম, যা দিয়ে ভাল থ্রিলার বানানো যাবে। দর্শক যেন গল্পের প্লটে বুঁদ হয়ে যান। আমার মতে, যখন কোনও পরিচালক থ্রিলার বানান, তখন তাঁর ক্যানভাসটা অনেক বড় হয়ে যায়।
প্র: অমিতাভ বচ্চনকে এই ছবির জন্য কী ভাবে রাজি করালেন?
উ: অমিতজির সঙ্গে আমার সম্পর্ক আজকের নয়, অনেক বছরের। এই ছবিটা করতে ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই নিষেধ করেছিলেন আমাকে। কিন্তু ‘চেহরে’-র জন্য অমিতজি বরাবর উৎসাহ দিয়েছিলেন। চিত্রনাট্য শুনেই বলেছেন ‘শুরু করা যাক।’ পোল্যান্ডে মাইনাস ডিগ্রি সেলসিয়াসে শুট করেছেন। কাজের প্রতি ওঁর ডেডিকেশন দেখার মতো। অমিতজি ‘হ্যাঁ’ না বললে ছবিটাই করতাম না।
প্র: অমিতাভ বচ্চনের জন্য একটি বিশেষ কবিতাও লিখেছেন...
উ: ওঁকে ভেবেই লিখেছি। অমিতজি ছবির একটি গানের সঙ্গে সেটা আবৃত্তিও করেছেন।
প্র: ছবিটি যাতে বড় পর্দায় রিলিজ় করে, তার জন্য অনেক মাস ধরেই চেষ্টা চালিয়েছেন।
উ: আমি ও প্রযোজক আনন্দ পণ্ডিত যখন ‘চেহরে’ ছবির পরিকল্পনা করেছিলাম, আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে, এটা বড় পর্দায় আসবে। অনেক অপেক্ষা করতে হল। অনেকে প্রশ্ন করছেন, ‘সিনেমা হলে দর্শক আসবেন?’ আমি বলি, আসবে। কারণ এখনও দেশে সবচেয়ে কম খরচে বিনোদনের প্রধান উপায় বড় পর্দা।
প্র: গত বছর সুশান্ত সিংহ রাজপুত এবং রিয়া চক্রবর্তীকে নিয়ে একটি ছবি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আর কি বানাবেন সে ছবি?
উ: ছবির বিষয় নিয়ে সুশান্ত বরাবর খুঁতখুঁতে ছিল। অনেক সময় নিয়ে তবে ‘হ্যাঁ’ বলেছিল। ওর বাড়িতে বসে আমরা স্ক্রিপ্ট রিডিং সেশন করেছি। অনেক স্মৃতি এখনও জড়িয়ে রয়েছে। এখন ওই চিত্রনাট্য আলমারিবন্দি। কিছু দিন পরে ভেবে দেখব।
প্র: ‘চেহরে’তে রিয়া চক্রবর্তীকে কিছু ভেবে কাস্ট করেছিলেন?
উ: কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরা ওর নাম ছবির জন্য সুপারিশ করেছিল। আমার মনে হয়, রিয়ার কাজ দর্শকের ভাল লাগবে।