নুসরত।
তিনি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সে ভাবে কাজ করেননি। বড় পর্দার পরিবর্তে ওয়েব প্ল্যাটফর্মে সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘ছলাং’। পরিচালক হনসল মেহতার এই ছবিতে রাজকুমার রাওয়ের নায়িকা নুসরত ভারুচা। বললেন, ‘‘রোম্যান্টিক কমেডিতে অভিনয় দেখানোর সুযোগ কম থাকে, আর দর্শকও মজা পেতেই ব্যস্ত থাকেন। কোনও একটা প্যাটার্নের ছবি বাণিজ্যিক সাফল্য পেয়ে গেলেই পরপর সেই ধরনের চরিত্র আসতে থাকে। ইন্ডাস্ট্রির দৃষ্টিভঙ্গিও সংকীর্ণ হয়ে ওঠে।’’
‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ হোক কিংবা ‘সোনু কে টিটু কী সুইটি’, কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে তাঁর রোম্যান্টিক জুটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তা নিয়ে গর্বিত হলেও নুসরত নিজেকে ভাঙতে চান এ বার। এ ক্ষেত্রে হনসল মেহতার প্রতি বিশেষ ভাবে কৃতজ্ঞ অভিনেত্রী, ‘‘মনে মনে দ্বিধা ছিল, আমি যে ধরনের ছবি করি, তাতে হনসল স্যরের ছবিতে কাজ করার সুযোগ কোনও দিন পাব কি না। গ্ল্যামারাস, বাস্তববর্জিত চরিত্র করে করে আমার টিপিক্যাল ইমেজ তৈরি হয়েছে। তার বাইরেও যে আমার সামান্য অভিনয়-ক্ষমতা রয়েছে, সেটাকে উনি মান্যতা দিয়েছেন।’’
যে বাণিজ্যিক ছবি তাঁকে পরিচিতি দিয়েছে, তাকে অস্বীকার করতে রাজি নন অভিনেত্রী। ‘‘ওই ছবিগুলোর জন্যই কিন্তু মানুষ আমায় চেনেন। তবে সিরিয়াস ছবি, সিরিয়াস চরিত্র না করলে আবার গুরুত্ব পাওয়া যায় না,’’ বললেন তিনি। কার্তিক আরিয়ানের সঙ্গে তাঁর জনপ্রিয় জুটি বা ‘ড্রিম গার্ল’-এর আয়ুষ্মান খুরানার নায়িকা— তাঁর বেশির ভাগ ছবিতেই কি নায়কের দিকে পাল্লা ভারী? ‘‘প্রথম থেকেই বুঝে যাই, এই ছবিটা আমার নয়। এখানে হিরো-ই প্রাধান্য পাবে। জেনেশুনেই সেই ছবির অংশ হয়েছি। ভাল টিমের অংশ হওয়াই বড় কথা।’’
বাড়ি থেকে ছবির প্রচার চলায় তাঁকে হিলস পরতে হচ্ছে না, মা খাবার তৈরি করে মুখের সামনে ধরছেন— এ সবে বেজায় খুশি নুসরত। জায়ান্ট স্ক্রিনে পরিবারের সকলকে নিয়ে বসে ছবি দেখেছেন লকডাউনে। বাবাকে লাইটের দায়িত্ব, আর মায়ের হাতে ক্যামেরা দিয়ে একটি পত্রিকার কভার শুটও করে ফেলেছিলেন বাড়ি বসেই। আপাতত ‘ছোরি’র শুটিং নিয়ে ব্যস্ত তিনি। বাকি ‘হুড়দং’ ছবির কাজও। ‘ছলাং’-এর পরে আরও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের অপেক্ষায় তিনি।