‘বাবা সকলকে ডেকে বলে, ছেলে হিরো হয়ে গিয়েছে’

তাঁর কাছে স্টারডম নতুন। তবে পা এখনও মাটিতে। আনন্দ প্লাসের সামনে কার্তিক আরিয়ানতাঁর কাছে স্টারডম নতুন। তবে পা এখনও মাটিতে। আনন্দ প্লাসের সামনে কার্তিক আরিয়ান।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০০:১০
Share:

কার্তিক আরিয়ান

প্র: আপনাকে নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে সাড়া পড়ে গিয়েছে!

Advertisement

উ: ইন্ডাস্ট্রি আর দর্শকের কাছ থেকে যে ভালবাসা পাচ্ছি, তার গুরুত্ব আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। তবে এই জায়গায় পৌঁছতে আমার সাত বছর সময় লেগেছে। আগামী দিনেও আশা করি আমার জন্য ভাল কিছু অপেক্ষা করছে। স্টারডমের মায়া এমনই, যত পাই তার চেয়েও বেশি পেতে ইচ্ছে করে। আমরা অভিনেতারা খুব লোভী হই। ‘সোনু কে টিটু কী সুইটি’ দর্শকের ভাল লাগবে জানতাম। কিন্তু আমার জন্য যে এত দরজা খুলে দেবে, তা স্বপ্নেও ভাবিনি। তবে ‘লুকা ছুপি’ দিয়ে আমার জাজমেন্ট ডে শুরু হবে।

প্র: বরাবরই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন?

Advertisement

উ: আমি যখন ক্লাস এইট বা নাইনের ছাত্র, তখন থেকেই ছবির হিরো হতে চাইতাম। কোনও ছবি দেখতে বাদ রাখতাম না। গ্বালিয়রে থেকে বুঝতে পারতাম না, মুম্বইয়ের গ্ল্যামার দুনিয়ায় পৌঁছব কী করে!

প্র: স্টারডম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইফস্টাইলও তো বদলে যায়...

উ: আগের চেয়ে অনেক বেশি লোক এখন সেলফি তুলতে আসে (হাসি)! গ্বালিয়রে আমি যে ভাবে বড় হয়েছি তাতে মনে হয় না, আমার জীবনে কোনও পরিবর্তন এসেছে। আমার মা-বাবা এখনও বকুনি দেন। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা অনেকটা জুয়া খেলার মতো। প্রত্যেক মুহূর্তে অনিশ্চয়তা। কখনও প্রথম, কখনও দ্বিতীয়... পরিবর্তন হতেই থাকে। আমার কাছে দ্বিতীয় স্থানটা একটু বেশি নিরাপদ (হেসে)। তবে আমার ছবি দেখতে দর্শক যে হলে আসছেন, সেটাই অনেক বড় পাওনা।

প্র: ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসে এই জায়গায় পৌঁছনোর জার্নিটা কেমন?

উ: আমি বেলাপুর (নিউ মুম্বই) থেকে অন্ধেরি আসতাম অডিশনের জন্য। অডিশন ছবির না বিজ্ঞাপনের সেটা না জেনেই আসতাম। এখন আমার সঙ্গে রণবীর কপূর, রণবীর সিংহের তুলনা হচ্ছে। সেটা উপভোগ করছি। আমি যখন মুম্বইয়ে এসেছিলাম, আমার মা-বাবা জানতেন না। মুম্বইয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে এসেছিলাম।

১২ জনের সঙ্গে রুম শেয়ার করে থাকতাম। গুগল খুলে অডিশন লিখে সার্চ করতাম আর অডিশন দিতে যেতাম।

প্র: ইতিমধ্যে নাকি কর্ণ জোহরের নয়নের মণি হয়ে উঠেছেন?

উ: কিছু মাস ধরে আমার সঙ্গে ওঁর যোগাযোগ বেড়েছে। কথাবার্তা অনেক বেশি হচ্ছে। সবাই এটাও বলছে যে, আমি ওর খুব ফেভারিট। আসলে আমি কর্ণের ছবির বিরাট ভক্ত। দেখা যাক, কবে কাজের সুযোগ পাই।

প্র: কেমন গার্লফ্রেন্ড পছন্দ আপনার?

উ: আমাকে আর আমার বোনকে মা-বাবা একটা জিনিস শিখিয়েছেন, যে কাজ করব, সেই বিষয়ে আমাদের যেন পুরো ফোকাস থাকে। তাই আমি যেমন আমার কাজের ব্যাপারে মনোযোগী, চাইব আমার গার্লফ্রেন্ডও ততটাই ফোকাসড হোক। আর যেন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাও থাকে।

প্র: আপনার লাভ লাইফও আলোচনার কেন্দ্রে...

উ: আমি যখনই কোনও সম্পর্কে ছিলাম, সব সময়ে চাইতাম যেন সেই সম্পর্ক বিয়ে অবধি গড়ায়। কিন্তু সেটা এখনও পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি।

প্র: মুম্বইয়ের বাড়িতে মা-বাবা-বোনকে নিয়ে এসেছেন...

উ: মা অনেকটা আমার মতো। মায়েরও মনে হয়, স্টারডম আজ আছে, কাল না-ও থাকতে পারে। আর বাবা সকলকে ডেকে ডেকে বলে, ‘আমার ছেলে হিন্দি সিনেমার হিরো হয়ে গিয়েছে’ (হাসি)!

প্র: মহিলা অনুরাগীদের সামলান কী করে?

উ: আমার মেয়ে অনুরাগীরা হাসে, কাঁদে, চিৎকার করে। মাঝেমাঝে সামলানো কঠিন হয়। কিন্তু এই মুহূর্তগুলো উপভোগ করছি। ভক্তদের জন্যই তো আমরা টিকে আছি। আমি চাই, আমার ছবি আমার সব ভক্তদের বাড়িতে থাকুক। লোকে আমার সঙ্গে আরও সেলফি নিতে আসুক (হেসে)।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement