হুমা।
প্র: সাফল্য উদ্যাপন করেন?
উ: সাফল্য বা ব্যর্থতা... কোনওটা নিয়ে মাতামাতি করি না। চেষ্টা করি, দুটোকেই স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে। ‘মহারানি’র সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল, গল্প এবং চিত্রনাট্যের।
প্র: ‘মহারানি’ সিরিজ়ের জন্য কেমন প্রস্তুতি নিয়েছিলেন?
উ: এই সিরিজ়ের চিত্রনাট্য খুব সুন্দর লেখা হয়েছিল। চিত্রনাট্য পড়ে প্রথম ভাল লাগা তৈরি হয়েছিল। এক অজ পাড়াগাঁয়ের মেয়ে যে কোনও দিন পটনা যায়নি, স্কুলের মুখ দেখেনি, সাক্ষরতা জ্ঞানও হয়নি... ভাবতে পারেন, আমার বাস্তব জীবনের চেয়ে কতটা আলাদা ওই চরিত্র? সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, ওরকম অজ্ঞ, অশিক্ষিত হিসেবে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। সিরিজ়ে দেখানো হয়েছে যে, চেষ্টা করেও সই করতে পারে না মেয়েটি। ওই দৃশ্যটির শুট করা খুব কঠিন ছিল।
প্র: রাজনীতিতে কখনও আসবেন?
উ: রাজনীতিতে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। কারণ এর কিছুই বুঝি না। দিল্লির গার্গী কলেজে যখন পড়তাম, তখন কলেজের নাট্য বিভাগের সভাপতি ছিলাম আমি। কিন্তু ওখানে কোনও ভোটের চাপ ছিল না (হাসি)। কলেজে টমবয় ছিলাম, কেউ কিছু বলার খুব একটা সাহস করত না।
প্র: বলিউডে প্রায় এক দশক হতে চলেছে আপনার জার্নির। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি কাজ করেছেন হলিউডেও...
উ: এটা সত্যি যে, আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। খুব ছোট বয়স থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কী ভাবে সেই স্বপ্ন পূরণ হবে, তা জানতাম না। সময়ের স্রোতে শুধু এগিয়ে গিয়েছি। নিজের কাজ নিয়ে সহজে সন্তুষ্ট হই না। নিজেকে আরও এক্সপ্লোর করতে চাই।
প্র: কোভিড রোগীদের জন্য দিল্লিতে হাসপাতাল খুলেছেন। আগামী দিনে আর কী কী পরিকল্পনা রয়েছে?
উ: দিল্লির তিলক নগরে করোনা রোগীদের জন্য ১০০ বেডের হাসপাতাল খুলেছি। ৭০টা অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটরের বন্দোবস্ত করেছি। ৫০ শতাংশ ফান্ড সংগ্রহ করতে পেরেছি। অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা জারি রয়েছে। এছাড়া ৪০ বেডের একটা সেট আপ করতে চাই বাচ্চাদের জন্য। এখন স্বাস্থ্য খাতে বেশি বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। কারণ একটা বেড আর অক্সিজেনের জন্য মানুষকে ছটফট করতে আমরা দেখেছি। দিল্লির একটি গুরুদ্বারে অক্সিজেন দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল... সবেরই সাক্ষী আমরা।
প্র: জ়্যাক স্নাইডারের ‘আর্মি অব দ্য ডেড’ ছবিতে অভিনয় করলেন। অভিজ্ঞতা কেমন হল?
উ: জ়্যাক অত্যন্ত বিনয়ী মানুষ। এত বড় মাপের অ্যাকশন ছবিতে এত হলিউড অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা সত্যিই দারুণ একটা অভিজ্ঞতা। ওরা যে ভাবে আমাকে সাপোর্ট করেছে, তার জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমেরিকায় শুটিং চলাকালীন একটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া করে ছিলাম। ছবির কয়েকজন শিল্পী ভারতীয় খাবারের আবদার করেছিলেন। আমি নিজের হাতে রেঁধে খাওয়াব বলেছিলাম। ওখানে ভারতীয় দোকান খুঁজে বার করে গরম মশলা, তেজপাতা কিনে এনেছিলাম (হাসি)। ওরা চেটেপুটে খেয়েছিল।