ভূমি
প্র: আপনার প্রথম স্ট্যান্ডঅ্যালোন ছবি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে। বড় পর্দায় রিলিজ় কতটা মিস করছেন?
উ: ছোট থেকেই নতুন ছবি এলে আমরা সকলেই সিনেমা হলে গিয়ে তা দেখতে অভ্যস্ত। তাই হল রিলিজ় নিশ্চয়ই মিস করছি। তবে গত কয়েক মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সিনেমা দেখায় এতটাই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, বাড়ি বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা বেশ উপভোগ করি। যখন খুশি দেখা যায়, চাইলে পরেও সুবিধেমতো দেখা যায়। তা ছাড়া আরও বড় ব্যাপার হল কানেক্টিভিটি। ২০০টি দেশে পৌঁছে যাবে ‘দুর্গামতী’, বিভিন্ন ভাষায় সাবটাইটেল-সহ। সেটা কি কম বড় কথা?
প্র: ছবির নাম ‘দুর্গাবতী’ থেকে পাল্টে ‘দুর্গামতী’ করা হল কেন?
উ: এটা একান্তই নির্মাতাদের সিদ্ধান্ত। ‘দুর্গামতী’ নামটা ছবির গল্পের সঙ্গে বেশি মানানসই, তাই। কোনও বিতর্কের গন্ধ নেই এর মধ্যে (হাসি)।
প্র: এই প্রথম একক ভাবে কোনও ছবির মুখ্য চরিত্রে আপনি। এত দিন ধরে যে ধরনের চরিত্র করে এসেছেন, তা ভাঙতেই কি এই ছবিটা বেছে নিলেন?
উ: ‘দুর্গামতী’র চিত্রনাট্যে প্রথম যে বিষয়টা আমাকে আকৃষ্ট করেছিল, তা হল এর জ়ঁর। হরর কিংবা থ্রিলারে আগে কখনও কাজ করিনি আমি। বরাবরই স্লাইস অব লাইফ, ফিল গুড, সামাজিক বার্তাবাহী ছবি করে এসেছি। এ বারের অভিজ্ঞতাটা তাই একেবারেই আলাদা। আর কোনও ছবির মুখ্য নারী চরিত্রকে এত বড় ক্যানভাসে কমই ভাবা হয় এখনও। যেগুলো সাধারণত নায়কদের করতে দেখি, সেগুলো এ ছবিতে করার সুযোগ পেয়েছি আমি। কম ছবিই আসে, যেখানে পারফর্ম করার সুযোগ পাওয়া যায়। আর এই প্রথম একটা গোটা ছবির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আমায়, তাতে খুব সম্মানিত বোধ করেছি। সব অভিনেতাই সেই সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন, যেখানে তাঁর একার উপরে অনেকটা ভরসা করতে পারবেন নির্মাতারা।
প্র: সহ-অভিনেতা হিসেবে যিশু সেনগুপ্তকে কেমন লাগল?
উ: ভীষণ পজ়িটিভ, এনার্জেটিক, মজার একজন মানুষ যিশু। আমাদের একসঙ্গে কয়েকটা সিরিয়াস দৃশ্য ছিল, যেগুলো করার সময়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। তখন যিশু আমাকে উৎসাহ জোগাত। ওর ফিল্মোগ্রাফিও হিংসে করার মতো। বাংলার সেরা পরিচালকদের সঙ্গে ও কাজ করেছে। যিশুর দারুণ সব অভিজ্ঞতার কথাও শুনেছি!
প্র: গত কয়েক মাসে ইন্ডাস্ট্রিতে হওয়া যাবতীয় বিতর্কে অনেক তারকাই মুখ খুলেছেন। বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েছেন কঙ্গনা রানাউত-স্বরা ভাস্কর। এ প্রসঙ্গে আপনি নিজের মতামত প্রকাশে কতটা স্বচ্ছন্দ?
উ: আমি কারও নাম করে কিছু বলতে চাই না। শুধু বলব, অনেক বিতর্কই অমূলক ছিল। তারকাদের প্রিভিলেজড বলে মনে করাটা একেবারে ভ্রান্ত ধারণা। আমাদের সকলকেই নিজেদের মতো করে স্ট্রাগল করতে হয়। আমার বোন আইনজীবী, ওরও নিজস্ব স্ট্রাগল রয়েছে। আর নেপোটিজ়ম কোথায় নেই? এক সময়ে কাস্টিং ডিরেক্টর হওয়ার সুবাদে আমি মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেছি। সেই চাকরিটাও কিন্তু আমাকে পরিশ্রম করে জোগাড় করতে হয়েছিল।
প্র: কাজের ফাঁকে কিচেন গার্ডেন করা আপনার শখ। সেটা কি আপনাকে চাপমুক্ত থাকতে সাহায্য করে?
উ: ভীষণ ভাবে। গার্ডেনিং ইজ় থেরাপিউটিক। মুম্বইয়ে বৃষ্টি খুব বেশি হয়, তাই সেটা ঠিকমতো কাজে লাগিয়ে আমাদের কিচেন গার্ডেনকে সবুজে ভরিয়ে তুলেছি। পালং, ধনে, লঙ্কা, স্ট্রবেরি সবই ফলিয়েছি এ বার। গত শীতে করলা, বেগুন, চেরি টম্যাটো হয়েছিল। তবে এর কৃতিত্ব প্রায় পুরোটাই আমার মায়ের। গাছগুলোকে নিজের সন্তানের মতো ভালবাসে মা। বাগান করায় মায়ের অবদান ৬০ শতাংশ হলে আমার ৩০ শতাংশ। আর ১০ শতাংশ বোনের!
প্র: পরের ছবির শুটিং কবে থেকে শুরু করছেন?
উ: ‘বধাই দো’র শুটিং শুরু করব জানুয়ারি থেকে। রাজকুমারের (রাও) সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করে আছি।