রাম
কুড়ি বছর ধরে রাম কপূর ইন্ডাস্ট্রিতে জাঁকিয়ে বসেছেন। ধারাবাহিক, ছবি, ওয়েব সিরিজ়, সঞ্চালনা— জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতায়। তাঁকে দেখা যাবে ‘ক্রসরোডস’-এ সঞ্চালক হিসেবে। সলমন খানের প্রযোজনায় ‘লাভরাত্রি’তেও তিনি রয়েছেন একটি বিশেষ চরিত্রে।
প্র: সঞ্চালক হিসেবে আপনার প্লাস পয়েন্ট কী?
উ: স্বতঃস্ফূর্ততা। টেলিপ্রম্পটারের উপরে আমি নির্ভর করি না। বরং লাইভ দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরির মজাই আলাদা। আর অক্ষমতা হল, আমি অমিতাভ বচ্চনের মতো ভাল হিন্দি বলতে পারি না। উনি যখন হিন্দি বলতে শুরু করেন, তখন আর কিছু শুনতেই ইচ্ছা করে না। নেহাত আর শেখার বয়স নেই, না হলে নিশ্চয়ই শিখতাম।
প্র: সঞ্চালনার প্রতি আলাদা ভাল লাগার কারণ কী?
উ: আসলে নিজেকে রাম কপূর হিসেবে জাহির করতে খুব ভাল লাগে। সেই সুযোগটা সঞ্চালনায় আছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথোপকথনের অভিজ্ঞতাও অসাধারণ হয়। নাচ বা গানের রিয়্যালিটি শো হোস্ট করার ইচ্ছে তেমন নেই। অনেক দিন আগে রাখী সবন্তের স্বয়ম্বর সভার শো হোস্ট করেছিলাম। কিন্তু তখন শোয়ের গুণগত মান বিচার না করে সংখ্যার দিকে বেশি মন দিতাম। এখন ভেবেচিন্তে কাজ নিই।
প্র: কুড়ি বছর ইন্ডাস্ট্রিতে কাটানোর পরে আর কিছু পাওয়া বাকি আছে?
উ: খিদে মেটেনি। আরও ভাল কাজ করার ইচ্ছে আছে। যে কোনও ইন্ডাস্ট্রিতে নাম প্রতিষ্ঠা করা খুব কঠিন। আমার পক্ষেও কঠিন ছিল। যেটুকু করতে পেরেছি, আমি কৃতজ্ঞ। সফলতা ও ব্যর্থতাকে সমান ভাবে স্বীকার করে নিয়েছি। রনিত রায় বা আমার মতো অভিনেতা কমই আছেন, যাঁরা ফিল্ম, টিভি— দু’জায়গাতেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
প্র: ছবির পাশাপাশি টিভিতেও এত কাজ করার কারণটা কী?
উ: আমি কোনও দিন টিভি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেব না। ভারতের প্রায় প্রতি ঘরের দর্শক আমাকে চেনেন। সেটা টেলিভিশনই দিয়েছে। এক জন শিল্পী হিসেবে আমি মাধ্যম নিয়ে চিন্তিত নই। সেটা ভাবলে নিজেকে বেঁধে রাখতে হতো।
প্র: টিভিতে কি আপনি সব ধরনের কাজ করতে ইচ্ছুক?
উ: পৌরাণিক শোয়ে কখনও কাজ করব না। একতা কপূর এক বার আমাকে মহাভারতের একটি চরিত্র দিয়েছিলেন। আমি ‘না’ করেছিলাম। মন থেকে এই সব চরিত্র আমাকে প্রভাবিত করে না। তবে দর্শক যদি এ ধরনের শো দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বানানো হোক।
প্র: সাক্ষী তানওয়ারের সঙ্গে আপনার জুটি তো তুলনাহীন!
উ: আমরা একে অপরকে বহু দিন ধরে চিনি। আমাদের সম্পর্কের স্তম্ভ হল বিশ্বাস। ক্যামেরার সামনে সেই বিশ্বাসটা কাজে লাগে। আমরা একে অপরের জায়গা নিয়ে ভাবি না বলেই কেমিস্ট্রিটা সফল।
প্র: আপনি নাকি ওজন কমাচ্ছেন?
উ: ৪০ পেরিয়ে গিয়েছি। পরিবারের খেয়াল রাখতে হবে তো! দুটো বাচ্চা আছে। রোগা হওয়ার প্রচেষ্টা ব্যক্তিগত। কাজের দিক থেকে রোগা হওয়ার জন্য কোনও চাপ ছিল না। ভারতীয় দর্শক আমাকে এ ভাবেই স্বীকার করে নিয়েছেন।
প্র: ছেলেমেয়েরাও কি আপনার বা স্ত্রী গৌতমীর মতো অভিনয় করতে চায়?
উ: দু’জনেই ছোট। ওরা মুখে অবশ্য তাই-ই বলে। তবে আগে পড়াশোনা শেষ করা উচিত। বাচ্চাদের খ্যাতির জাঁকজমক থেকে দূরেই রাখি।
প্র: গৌতমীর সঙ্গে কবে আবার আপনাকে অনস্ক্রিন দেখা যাবে?
উ: মুশকিল। কারণ, বাচ্চাদের ও সামলায়। দু’জনেই কাজ করলে ওদের দেখবে কে? তবে মনের মতো কাজ পেলে গৌতমী নিশ্চয়ই করবে।