Rachna Banerjee

পশ্চিমবঙ্গে দু’জনই দিদি, শুনে শুনে কান পচে গিয়েছে: রচনা

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি নং 1’ রিয়েলিটি শোয়ের সুবাদে বাঙালি টেলি দর্শকের কাছের বন্ধু। ব্যস্ততা শেষ করে মধ্য রাত যখন আসন্ন, আনন্দবাজার ডিজিটালকে শোনালেন তাঁর প্রথম সিনেমা থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিতে আসা মেয়েদের কথা। শুনলেন মৌসুমী বিলকিস রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘দিদি নং 1’ রিয়েলিটি শোয়ের সুবাদে বাঙালি টেলি দর্শকের কাছের বন্ধু। ব্যস্ততা শেষ করে মধ্য রাত যখন আসন্ন, আনন্দবাজার ডিজিটালকে শোনালেন তাঁর প্রথম সিনেমা থেকে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিতে আসা মেয়েদের কথা। শুনলেন মৌসুমী বিলকিস

Advertisement
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:০২
Share:

রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘দিদি নং 1’-এ সমাজের সব অংশ থেকে মেয়েরা আসেন। অভিজ্ঞতাটা কেমন?

Advertisement

অনেক বছর হয়ে গিয়েছে। আমি এই শো থেকে অনেক কিছু শিখেছি। ডেফিনিটলি ফ্যান্টাস্টিক এক্সপিরিয়েন্স। শুধু আমি নই, পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মেয়েই এই শো থেকে ইনস্পায়ারড হন। খুব টাচিং, এই শো দেখে সবাই ইম্প্রুভ করেন।

Advertisement

কোনও বিশেষ কথোপকথন মনে পড়ে যা খুবই হৃদয়স্পর্শী?

প্রত্যেকদিন অনেক মেয়ের কথা শুনি। এরকম কথোপকথন প্রচুর আছে। প্রত্যেকটাই মনে রাখার মতো। হিউমিলিয়েশন, মেয়েদের উপর অত্যাচারের কথা অহরহ শুনি। যারা এক্সপ্রেস করতে পারে না বা যাদের দক্ষতা আছে দেখাতে পারে না, মানুষের সামনে আসতে পারে না... অ্যাসিড আক্রান্ত মেয়ে বা ট্রান্সজেন্ডার ইসু, আদার জেন্ডার ইসু, হেলথ ইসু— সব বিষয়েই এই শো খুবই সাহায্য করে।

আপনার গাইডেন্স কতটা বদল আনে মেয়েদের জীবনে?

ওরা এতটাই স্মার্ট, শুধু আমার গাইডেন্সে বদলে যাবে সেরকম নয়। আমার কথা তাদের হয়তো মোটিভেট করে। কিন্তু তারা জীবনে কী ভাবে এগোবে অলরেডি ডিসিশন নিয়ে নিয়েছে, কারও গাইডেন্সের জন্য বসে নেই। বরং, তারাই আমাদের শেখাতে পারে। মাথায় রাখতে হবে যে তারাও খুব ট্যালেন্টেড। অলিতেগলিতে এত মানুষের এত রকম গুণ, এত খাটার ইচ্ছে... এগুলো শেখার মতো।

ইনস্পিরেশনটা উভয়পাক্ষিক?

একদমই তাই।

জনপ্রিয়তার জায়গা থেকে এই শোয়ের বিষয়ে কী বলবেন?

এর উপরে আর কিছু হতে পারে না। দিস ইজ দ্য পিক।

আরও পড়ুন-চুপ কেন? জামিয়া নিয়ে কড়া প্রশ্নের মুখে শাহরুখ-সলমন-রণবীরেরা

পশ্চিমবঙ্গে দু’জনই দিদি আছেন তাহলে?

এটা শুনে শুনে কান পচে গিয়েছে।

আচ্ছা। ফিরিয়ে নিলাম।

হা হা হা...

আমোদিনী’-র শুটিংয়ের কথা মনে পড়ে কিনা বলবেন প্লিজ?

না। শুধু মনে পড়ে যে এন টি ওয়ান (নিউ থিয়েটার্স) স্টুডিওতে শুট হয়েছিল। আমি, কোকো (কঙ্কনা সেনশর্মা) এবং চিদানন্দ দাশগুপ্ত (‘আমোদিনী’-র পরিচালক), মানে রিনাদির (অপর্ণা সেন) বাবা... আমরা তিনজনে মিলে কাজ করতাম... খুব মজা করে। তখন তো ছবি এত কমার্শিয়ালাইজ ছিল না এবং এত পাবলিসিটির যুগও ছিল না।

বড় হওয়ার পরে আর আমোদিনীদেখেছেন?

না... একদমই না। বহুদিন আগের ছবি, একেবারে শুরুর দিকের... ন্যাচারালি দেখা হয় না।

নিজের কোনও পুরনো ফিল্ম দেখতে ইচ্ছে করে?

অল মুভিজ আর ভেরি ডেয়ার টু মি। সব ছবিই ভীষণ পরিশ্রম করে করতে হয়, পরিশ্রম করে ছবিগুলো বেরোয়। ন্যাচারালি সব ছবিই ভীষণ অ্যাট্রাক্টিভ বলে মনে হয়। কিন্তু এত টিভিতে দেখায়... আর মনে হয় না নতুন করে বসে দেখি। চ্যানেল সার্ফ করতে করতে নিজের ছবি এসে গেলে দেখি। তখন অনেক মেমরিজ ফ্রেশন আপ হয়ে যায়। অনেক কথা মনে পড়ে... হুইচ ইজ আ ভেরি নাইস ফিলিং অ্যাকচুয়ালি।

আরও পড়ুন-জামিয়া কান্ডের প্রতিবাদ, মেয়েকে জড়িয়ে মহেশ ভট্টকে কদর্য মন্তব্য কঙ্গনার দিদির

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনার জুটি হিট। এখনও কি তাঁর সঙ্গে কাজ করার কথা ভাবেন?

না। বিকজ... সত্যি কথা বলতে, আমার হাফ অব দ্য টাইম নিয়ে নেয় আমার ছেলে (প্রনীল বসু) আর হাফ অফ দ্য টাইম মাই শো। ন্যাচারালি আমি আর ছবি করতে পারবো বলে মনে হয় না... সেই সময়টা এখন আর দিতে পারবো না। ডেফিনেটলি মিস করি, ডেফিনেটলি ইচ্ছে হয়। ইচ্ছেটা আমার কাজের চাপে কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে।

এখন ইন্ডাস্ট্রি অনেক চেঞ্জ হয়েছে। মেয়েরাও হিরো হচ্ছেন। এরকম কোনও গল্পে অভিনয় করতে ইচ্ছে হয়?

আফটার অল উই আর আর্টিস্ট। বেটার... আর একটু কিছু ভাল, এই বিষয়টা তো সব সময় থাকে। কিন্তু সব সময় উই ডোন্ট গেট সাচ অফারস্‌। রাইট? সেরকম কিছু এলে ভেবে দেখবো। আদারওয়াইজ আমি এসব মাথাতেই আনি না।

আপনার কাছে ফিল্মের স্ক্রিপ্ট আসে?

না। একদমই আসে না। অনেকে বুঝে গিয়েছে, জেনে গিয়েছে... অনেক ইন্টারভিউতে অনেক বার বলেছি যে আর ছবি করব না, আনলেস সামথিং এক্সট্রিমলি অ্যাট্রাকটিভ, সাঙ্ঘাতিক... একেবারে মনে দাগ কাটার মতো চরিত্র পেলাম যেটা না করলে সারা জীবন পস্তাবো... তখন করব। নাহলে ফিল্ম করব না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement