প্রথম হিন্দি ছবি মুক্তির আগে মুখোমুখি প্রতীক গাঁধী
Pratik Gandhi

Pratik Gandhi: ‘বলিউড আমাকে বিপদ ভাবলেও ক্ষতি নেই’

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০০
Share:

প্রতীক

প্র: প্রথম হিন্দি ছবি নিয়ে কতটা উৎসাহী আপনি?

Advertisement

উ: প্রথম ছবি সকলের কাছেই স্পেশ্যাল। মুখ্য অভিনেতা হিসেবে ‘ভাবাই’ আমার প্রথম হিন্দি ছবি।

প্র: কিন্তু সে ছবির নাম ‘রাবণ লীলা’ থেকে পাল্টে ‘ভাবাই’ করা হয়েছে। বিতর্কের ভয়ে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রি কি আগেই এক কদম পিছিয়ে আসে?

Advertisement

উ: এই ছবির বিষয় রাম বা রাবণ নন। সমাজের চোখে কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, কোনটা করা উচিত, কোনটা নয়... তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে টানাপড়েন চলতেই থাকে। তবে কিছু বিষয় নিয়ে মানুষ বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। ছবিটিকে ভুল ব্যাখ্যা করা হোক, সেটা কেউ চাইনি। ছবির নাম বদলালেও ক্ষতি হবে না মনে হয়েছে।

প্র: সাম্প্রতিক সময়ের নিরিখে ছবিতে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হয়েছে?

উ: না। এই ছবি একটা সামাজিক দ্বন্দ্বের কথা তুলে ধরে, যার মধ্যে আমরা সকলে রয়েছি। সংখ্যাগরিষ্ঠ যা করে, সে দিকেই সাধারণ মানুষের ভিড়ে যাওয়ার প্রবণতা। কিন্তু সেটাই কি ঠিক? ছবি সেই কথা বলে।

প্র: ‘স্ক্যাম ১৯৯২- দ্য হর্ষদ মেহতা স্টোরি’ সিরিজ় মুক্তির পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়—আপনার জীবন নিশ্চয়ই এ ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছে?

উ: একেবারে ঠিক বলেছেন (হাসি)।

প্র: রিলিজ়ের পরবর্তী সময় কেমন কাটছে?

উ: অভিনেতা হিসেবে নির্ভরযোগ্যতা বেড়েছে। অনেক ধরনের ছবির প্রস্তাব পাচ্ছি। পরিচালক-প্রযোজকেরা নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম অনেক বছর ধরে। প্রায় পনেরো বছরের কাছাকাছি কাজ করছি। এই মুহূর্তে সেই স্বপ্নের জীবনটাই যাপন করছি।

প্র: এই সিরিজ়ের অভাবনীয় সাফল্যের পরে সেরা প্রশংসা কী পেয়েছিলেন?

উ: একজন বলেছিলেন, যদি বাস্তবের হর্ষদ মেহতা (প্রয়াত) এখন ফিরে আসেন, তিনি আর হর্ষদকে গ্রহণ করতে পারবেন না (হাসি)।

প্র: পরিচালক হনসল মেহতার কী প্রতিক্রিয়া ছিল?

উ: আমার কাজ নিয়ে হনসল স্যর খুব খুশি ছিলেন। রিলিজ়ের ঠিক আগে বলেছিলেন, ‘একটু সবুর করো। সিরিজ়টা রিলিজ় হোক। এর পরে তোমার জীবন পাল্টে যাবে।’ প্রথম থেকে উনি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন সিরিজ়টা নিয়ে। আমিও সাহস পেয়েছিলাম।

প্র: রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রির ইঞ্জিনিয়ারের অভিনয়ের জগতে আসা কী ভাবে?

উ: বরাবর দুটো কাজ একসঙ্গে করেছি। স্কুলের সময় থেকেই থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত। তার পর ইঞ্জিনিয়ারিংও করি। শখ-প্যাশন যে অভিনয়ের দিকেই ছিল, সেটাও বুঝতাম। চাকরি করতাম রিলায়্যান্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারে। সঙ্গে চলত ছবি ও থিয়েটার। ২০১৬ সালে চাকরি ছেড়ে পুরোদস্তুর অভিনেতা হলাম।

প্র: গত দেড় বছরে ওটিটি স্টারডমের সংজ্ঞা বদলে দিয়েছে। আপনার কাছেও কি সেই সংজ্ঞা বদলেছে?

উ: এই বদলটার বোধহয় দরকার ছিল। শুধু অভিনেতা নন, লেখক-পরিচালক-চিত্রনাট্যকারদের কাছেও এই পরিবর্তন আশাপ্রদ। দর্শক বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখছেন। ফলে কিছু সমীকরণ অবশ্যই বদলাচ্ছে। ‘স্ক্যাম...’ সিরিজ়ে তারকা সে অর্থে ছিল না। পুরোটাই কনটেন্ট। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সাহসও পাচ্ছেন পরিচালকেরা।

প্র: এখন নিজেকে স্টার মনে হয়?

উ: একেবারেই না (হাসি)। অভিনেতা হিসেবে দর্শক আমাকে চিনলেই খুশি।

প্র: আপনার হাতে একাধিক হিন্দি ছবি-সিরিজ়। কোনটার শুটিং চলছে?

উ: তিগমাংশু ধুলিয়ার পরিচালনায় ‘সিক্স সাসপেক্টস’ সিরিজ়ের শুট চলছে। রিচা চড্ডা আছেন আমার সঙ্গে। ‘ভাবাই’-এর পরিচালক হার্দিক গজ্জরের আর একটি হিন্দি ছবি ‘অতিথি ভুতো ভব’ রয়েছে। ‘দেড় বিঘা জ়মিন’-এর শুট শেষ করলাম।

প্র: বলিউডের নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের কাছে প্রতীক গাঁধী কি বিপদ হয়ে উঠতে পারেন?

উ: (জোরে হাসি) যদি সেটাই হয়, তাতে আমার ক্ষতি নেই। বরং আরও বিভিন্ন ধরনের চরিত্রের অফার পাব। আমিও নিজের সেরাটা তুলে ধরতে পারব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement