অভিষেক
প্র: আপনার ছবি ‘দ্য বিগ বুল’ সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সে জায়গায় ওটিটি রিলিজ় হচ্ছে। কোনও খারাপ লাগা আছে?
উ: একজন অভিনেতা হিসেবে আমার একটাই ধর্ম, দর্শককে বিনোদন জোগানো। সেখানে মাধ্যম যা খুশি হতে পারে। মোদ্দা বিষয় হল, আমার ছবি দেখে দর্শক যেন আনন্দ পান। তা ছাড়া ওটিটি অনেক নতুন সম্ভাবনা তৈরি করছে। আর এই কোভিডের পরিস্থিতিতে ঘরে বসে ছবি দেখাটা অনেক নিরাপদ।
প্র: মুম্বইয়ে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি ফের আতঙ্ক বাড়িয়েছে। গত বছর যেখান থেকে শুরু হয়েছিল, সেই পরিস্থিতিই ফিরে আসছে...
উ: আমার মনে হয়, এর দায় আমাদেরই। গত কিছু দিন ধরে আমরা যে ভাবে আচরণ করছি, তাতে মনে হয় কোভিডের অস্তিত্বই নেই। নিয়ম না মেনে চলার জন্য আজ আমাদের এই অবস্থা। সরকার যে নিয়মাবলি বানিয়েছে সেটা সকলে মেনে চলুন, এটাই অনুরোধ।
প্র: ‘গুরু’, ‘খেলে হাম জী জান সে’-র পরে ‘দ্য বিগ বুল’ আপনার করা তৃতীয় বায়োপিক। এই ধরনের ছবিতে আপনার অভিনয় বরাবরই প্রশংসিত হয়েছে। এর রহস্যটা কী?
উ: কোনও রহস্য নেই। এর কৃতিত্ব আমার পরিচালকদের। এর জন্য আমি কোনও ক্রেডিট নিতে চাই না, আর সেটা উচিতও হবে না। আমি ডিরেক্টর্স অ্যাক্টর।
প্র: আপনি নিজেও তো স্টক মার্কেট নিয়ে আগ্রহী। সেই অভিজ্ঞতা এই ছবিতে কি কাজে এল?
উ: এটা সত্যি, আমার স্টক মার্কেট বিষয়টা এক্সাইটিং লাগে। গত সাত বছর ধরে এই মার্কেটে আমার অ্যাক্টিভ পোর্টফোলিয়ো আছে। তবে আমাদের ছবিটা আশি-নব্বইয়ের দশকের স্টক মার্কেটের উপরে ভিত্তি করে তৈরি। আর সেই সময়ের বেশির ভাগ শেয়ার এখন নেই। তাই আমার জ্ঞান ছবির ক্ষেত্রে কাজে আসেনি।
প্র: যখন এই স্ক্যাম হয়, তখন সারা দেশে তোলপাড় হয়েছিল। সেই সময়ের কোনও স্মৃতি রয়েছে আপনার?
উ: না, আমি তখন বিদেশে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছি। আমার সব জ্ঞান কাগজ আর ইন্টারনেট ঘেঁটে। পরিচালক কুকি গুলাটি ওই সময়ে স্টক মার্কেটে কাজ করতেন, তাই ওঁর অনেক ফার্স্টহ্যান্ড টিপস এই ছবিতে কাজে এসেছে।
প্র: হেমন্ত শাহের চরিত্রের জন্য কী ধরনের হোমওয়ার্ক করেছেন?
উ: আমার কাছে হোমওয়ার্কের গুরুত্ব খুব বেশি। যে কোনও ছবিতে, যে কোনও চরিত্রের জন্য আমি নিজে আলাদা ভাবে প্রস্তুতি নিই। হেমন্ত শাহের লুকের জন্য পরিচালক যা বলেছেন, সেই অনুযায়ী পরিশ্রম করেছি। এই ছবিতে আমাদের প্রোডাকশন কন্ট্রোলার এবং কস্টিউম ডিজ়াইনার যে ভাবে আলাদা একটা জগৎ বানিয়ে দিয়েছেন, সেটা আমাকে চরিত্রটা গড়ে তোলার জন্য খুব সাহায্য করেছে। ট্রেলার দেখে সকলের প্রতিক্রিয়ায় বুঝতে পারছি, আমরা ঠিক পথেই চলেছিলাম।
প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলদের অনেকেই এড়িয়ে যান। কিন্তু আপনি নিয়মিত মিঠে-কড়া জবাব দেন...
উ: আসলে আমি এদের মোটেই সিরিয়াসলি নিই না। তবে মাঝেমধ্যে জবাব দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে। তখন নিজের সেন্স অব হিউমর দিয়ে বিষয়টা সামলাই।