‘এক্কা দোক্কা’। নামটার মধ্যে যেমন ভরপুর ছোটবেলার গন্ধ, তেমন তাতে কি লুকিয়ে নেই এক থেকে দুই হওয়ার ইঙ্গিত? বৈঠকী আড্ডায় উঠে এল এমনই আরও কিছু নেপথ্য-গল্প। যেমন? সপ্তর্ষি মৌলিক নাকি দুর্দান্ত টেনিস খেলছেন ইদানিং! আর সোনামণি সাহা মন দিয়েছেন ডাক্তারিতে! সৌজন্যে তাঁদের নতুন ধারাবাহিক ‘এক্কা দোক্কা’।
ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা পোখরাজ এবং রাধিকা। দুই হবু ডাক্তারের সাফল্যের রেষারেষি কোন দিকে গড়াবে— তারই গল্প বলবে ‘এক্কা দোক্কা’। বৃহস্পতিবার ধারাবাহিক নিয়ে এক আলোচনা চক্রে কাহিনিকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রেমহীন একটা সময়। নতুন প্রজন্ম রাধিকা আর পোখরাজকে দেখে আবার প্রেমে আস্থা ফেরাক, এমনটাই চাই।’’
প্রযোজনা সংস্থা ‘ম্যাজিক মোমেন্টস’-এর কর্তা শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায়ও চান পোখরাজ আর রাধিকার পর্দার প্রেম হয়ে উঠুক বাস্তবের চর্চার কেন্দ্রবিন্দু। লীনা জানালেন, তিনি এ নিয়ে আশাবাদী। কারণ ধারাবাহিকের মূল চরিত্রে নান্দীকারের অন্যতম স্তম্ভ সপ্তর্ষি। বিপরীতে নায়িকা সোনামণি ‘মোহর’ ধারাবাহিকের নামভূমিকায় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিলেন। সপ্তর্ষিও এর আগে ‘শ্রীময়ী’ ধারাবাহিকের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘ডিঙ্কা’ হয়ে নজর কেড়েছিলেন যথেষ্টই।
ধারাবাহিকের নায়ক-নায়িকা পোখরাজ এবং রাধিকা।
গল্পের নায়ক পোখরাজ নিয়মিত টেনিস খেলে। সেই সূত্রে আড্ডার মাঝেই শৈবাল ফাঁস করেছেন সপ্তর্ষির কীর্তি। বলেছেন, ‘‘এমন ভাল টেনিস খেলতে শুরু করছে সপ্তর্ষি যে, এখন ওকে অভিনেতার চেয়ে বেশি খেলোয়াড় মনে হচ্ছে!’’ প্রসঙ্গটা লুফে নিয়ে অভিনেতা বলেন, ‘‘আসলে ছোট থেকে আমার ইচ্ছে ছিল টেনিস খেলব। সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ‘এক্কা দোক্কা’র সুবাদে হয়ে গেল আর কী! চরিত্রটাকে বিশ্বস্ত করতে ততটাই টেনিস অনুশীলন করেছি, যতটা দেখলে বোঝা যায় পোখরাজ নিয়মিত খেলে।’’
আর সোনামনি? তাঁরও কি ‘এক্কা দোক্কা’ খেলতে গিয়ে নতুন কিছু শেখা হল? অভিনেত্রীর সটান উত্তর, ‘‘ডাক্তারি! ডাক্তারির পরিভাষা, ওষুধের অআকখ শেখার অভ্যেস করার চেষ্টা করছি। ডাক্তারিতে হাতেখড়ি হচ্ছে বলা যায়। হাতেকলমেও শিখতে হবে কি না, সেটা সময় বলবে। আমিও জানি না।’’ কিসের বিশেষজ্ঞ হতে চলেছেন বলে মনে হয়? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল সোনামণির কাছে। নিমেষে রসিক জবাব, ‘‘হৃদয়ের!’’
‘এক্কা দোক্কা’র ঝলক দেখেই উদগ্রীব হয়েছেন দর্শক। লীনা এবং শৈবাল জানান, শ্যুটিংও পুরোদস্তুর শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকটি স্টার জলসায় সম্প্রচারিত হবে ১৮ জুলাই থেকে। ঝলক দেখে গল্পটাও এত দিনে অনেকেরই জানা। পুরনো অশান্তি ঘিরে সেন আর মজুমদার পরিবারের রেষারেষির জের পোহাতে হচ্ছে তাঁদের নতুন প্রজন্মকেও। মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারে পড়া রাধিকা আর পোখরাজও কি পারিবারিক বৈরিতার পথেই এগোবে? নাকি মিলে যাবে দুই পথ? সেই কৌতূহলেই মন কাড়বে নতুন ধারাবাহিক, আশায় নির্মাতারা।