পথেই যাঁদের জন্ম-মৃত্যু, তাঁদের পাশে দেবজ্যোতি মিশ্র
ওঁদের গায়ে পোশাক নেই। খিদে বোধটুকুও ওঁদের নেই। কারণ, ওঁরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। তা বলে সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকারটুকুও কি নেই? অতিমারিতে তাঁরা কোথায় যাবেন? সমাজ যদিও এঁদের নিয়ে মাথা ঘামায় না। কিন্তু এক জন শিল্পী কী করে এই দায় অস্বীকার করতে পারেন? সেই অনুভূতি থেকেই তৈরি দেবজ্যোতি মিশ্রের ‘পথবন্ধু’। পথেই যাঁদের জীবন মরণ, তাঁদের পাশে থাকতেই সুরকার, শিল্পীর এই প্রচেষ্টা। দেখতে দেখতে ৭ দিন বয়স হয়ে গেল সংগঠনের। এবং এই ৭ দিনে সে পার্ক স্ট্রিট থেকে কুলতলি অবধি কাজ হয়েছে।নেটমাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন দেবজ্যোতি।
স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থা নিয়ে অনুরাগীদের সঙ্গে অনেক অনুভূতিই ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন বাম দলের তৈরি ‘শ্রমজীবী ক্যান্টিন’-এর কাছে। দাবি, এই ক্যান্টিনই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছে ‘পথবন্ধু’র জন্য। এই সংস্থার হাত ধরে কী কী করছেন দেবজ্যোতি এবং তাঁর অনুগামীরা? শিল্পী জানিয়েছেন, গ্রাম থেকে শহরের পথে যাঁরা অন্নহীন, বস্ত্রহীন তাঁদের কাছে পোশাক, খাবার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা। পোশাক, খাবার দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের স্নান করিয়ে পরিচ্ছন্ন রাখার দায়ও খুশি মনে নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে সংগঠন।
ইতিমধ্যেই দেবজ্যোতি এবং তাঁর সংস্থার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। শিল্পীর তাই আন্তরিক ধন্যবাদ সবাইকে। পাশাপাশি তিনি এও বুঝেছেন, সমাজে যত জটিল হবে এমন মানুষের সংখ্যাও ততই বাড়বে। তাই হাতে গোনা কিছু মানুষ দিয়ে এঁদের সেবা সম্ভব নয়। শিল্পীর তাই আন্তরিক অনুরোধ, ‘‘আপনারা পাশে এসে দাঁড়ান। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনারা থাকলে এঁরা সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে পারবে।’’