সোহম চক্রবর্তী।
মঙ্গলবার থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরেই ঘাঁটি গেড়েছেন সোহম চক্রবর্তী। সাংসদ দেবের মতো তিনিও নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রের মানুষদের পাশে। আমপানের (প্রকৃত উচ্চারণে 'উমপুন') পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াস যাতে এলাকায় নতুন করে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ বাড়াতে না পারে, সে দিকে তাঁর সজাগ দৃষ্টি। স্থানীয় মানুষদের আশ্রয় দিতে ত্রাণ শিবিরগুলো কতটা তৈরি, নিজে ঘুরে দেখছেন সে সবও। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য খোলা হয়েছে ২টি কন্ট্রোল রুমও। ইনস্টাগ্রামে সেই ছবি ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি সোহম এও জানিয়েছেন, ইয়াস চলে যাওয়ার পরেও তিনি কিছু দিন চণ্ডীপুরেই থাকবেন। আশ্বস্ত করেছেন এলাকাবীসদেরও, ‘‘জোট বেঁধে থাকলে যে কোনও কঠিন পরিস্থিতিরও মোকাবিলা সম্ভব।’’
অতিমারি নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ভ্রূকুটি। উভয় দুর্যোগের সাঁড়াশি চাপে সাধারণ মানুষ বিপর্যস্ত। তখনই ত্রাতার ভূমিকায় এলাকার বাসিন্দাদের পাশে সোহম। ভাগ করে নেওয়া ছবি অনুযায়ী, এই মুহূর্তে নব নির্বাচিত বিধায়ক ঝড়ের তাণ্ডব থেকে এলাকাবাসীদের বাঁচাতে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রাণ শিবিরে। অধিবাসীদের যাতে কোনও অসুবিধে না হয়, সে দিকেও কড়া নজর তাঁর।
পাশাপাশি, মঙ্গলবার সকালে চন্ডীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ভগবানপুর ব্লকে ৬০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দিয়ে করোনা আক্রান্তদের জন্য ‘সেফ হোম’ পরিষেবা চালু হয়েছে। চন্ডীপুর ব্লকেও খুব শিগগিরি চালু হবে এই পরিষেবা। তাই আপাতত চণ্ডীপুরে থেকেই সমস্ত বিষয়টি দেখভালের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিধায়ক সোহম।