দুলকির সলমন
প্র: বলা হচ্ছে, ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’ সোনম কপূরের ছবি। নিজের স্ক্রিন প্রেজ়েন্স নিয়ে সংশয় ছিল?
উ: সব সময়ে চরিত্রকে গুরুত্ব দিয়েছি, তার দৈর্ঘ্যকে নয়। ‘মহানতী’ ছবিটি ছিল অভিনেত্রী সাবিত্রীর বায়োপিক। তবু আমার চরিত্রটা সেখানে পাওয়ারফুল ছিল। হিন্দিভাষী দর্শক আমার চেয়ে সোনমকে বেশি চেনেন, সেটা তো জানিই।
প্র: ক্রিকেট খেলার সঙ্গে কতটা পরিচিতি আপনার?
উ: চেন্নাই শিফ্ট করার পরে গলি ক্রিকেট খুব খেলতাম। পরে যখন বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়েছি, ওখানে পাকিস্তানি, বাংলাদেশিদের নিয়ে একটা ক্রিকেট টিম গড়েছিলাম। প্রত্যেক রবিবার খেলতাম। ক্রিকেট নিয়ে আমার চেয়েও বেশি পাগল আমার স্ত্রী।
প্র: মহিলা ফ্যান ফলোয়িং দেখে স্ত্রী কী বলেন?
উ: আমি স্ত্রীকে বলি, দেখো আমার কত কদর করে এরা! স্ত্রী পাল্টা বলে, ‘তোমাকে তখন থেকে চিনি, যখন তুমি স্টারও হওনি...’ (হেসে)। আমার স্ত্রী খুব সাধারণ। একই স্কুলে পড়তাম। আমার চেয়ে ও পাঁচ বছরের ছোট। আমাদের অ্যারেঞ্জড কাম লাভ ম্যারেজ। দু’জনেরই বাড়ি থেকে বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। আমরাও সেই সুযোগে বাড়িতে নিজেদের কথা বলি।
প্র: বাবার (মামুট্টি) সঙ্গে কবে একই ছবিতে কাজ করবেন?
উ: আমি বাবার ফ্যান। কিন্তু বাবা মনে করেন, আমাদের পরিচিতি আলাদা আলাদা। তাই একসঙ্গে কাজ করার এখনই প্রয়োজন নেই।
প্র: বেশ কয়েক বছর ধরে দক্ষিণী ছবি হিন্দি ভাষায় ডাব্ড হয়ে বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছচ্ছে। বিষয়টি কী ভাবে দেখেন?
উ: ‘বাহুবলী’র পরে চলটা আরও বেড়েছে। দর্শক এখন ছবির ইমোশনও ভাল ভাবে বোঝার চেষ্টা করেন। ব্যক্তিগত ভাবে ডাব্ড ছবি পছন্দ করি না। বেশির ভাগ সময়ে লিপ সিঙ্ক মেলে না। সাবটাইটেল দেওয়া ফিল্মও পছন্দ করি না। দর্শক ছবি দেখবেন, নাকি সাবটাইটেলে মন দেবেন, বুঝতে পারেন না।
প্র: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলড হলে কী ভাবে রিঅ্যাক্ট করেন?
উ: প্রথম প্রথম যখন কাজ শুরু করেছিলাম, সোশ্যাল মিডিয়া আমাকে খুব প্রভাবিত করত। এমনও দিন গিয়েছে, আমি রাতে ঘুমোতে পারতাম না। কিন্তু ব্যাপারটা এখন সহজ ভাবে নিই। দেশের কোন প্রান্তে বসে একজন ব্যক্তি আমার বা আমার পরিবার সম্পর্কে ভুলভাল বকছে, সেটা কেন আমাকে প্রভাবিত করবে? আজকাল সকলের হাতেই স্মার্টফোন। আর তার সঙ্গে সস্তার ডেটা প্ল্যান। আর কী চাই?
প্র: ‘দ্য জ়োয়া ফ্যাক্টর’ ছবিটি গুড লাক নিয়ে। আপনার কোন বিষয়ে অন্ধবিশ্বাস রয়েছে?
উ: আমেরিকায় যখন পড়াশোনা করতাম, তখন এক বার কালো বিড়াল রাস্তা কেটেছিল। আর সেই দিনটা খুব একটা ভাল কাটেনি। তার পর থেকে রাস্তায় কালো বিড়াল দেখলেই আমি গাড়ি ঘুরিয়ে নিই।