মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার, দাবি শৌভিকদের ঘনিষ্ঠ

এনসিবি গ্রেফতার করেছে জ়াইদ ভিলাত্রা নামে এক মাদক পাচারকারীকে।

Advertisement
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৭
Share:

তলব: ফের সিবিআইয়ের দফতরে রিয়া চক্রবর্তীর বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তী। বুধবার মুম্বইয়ে। পিটিআই

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলায় প্রথম গ্রেফতার। আজ নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি) বসিত পরিহার নামে বান্দ্রার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে। এনসিবির দাবি, এই বসিত মাদকের লেনদেনে যুক্ত এবং সুশান্তের ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট যোগাযোগ ছিল। শৌভিকের নির্দেশেই এই বসিতের কাছ থেকেই সুশান্তের জন্য মাদক জোগাড় করতেন স্যামুয়েল, এনসিবি-র এক অফিসারকে উদ্ধৃত করে আজ এই দাবি করেছে একটি সংবাদ মাধ্যম।

Advertisement

আজই এনসিবি গ্রেফতার করেছে জ়াইদ ভিলাত্রা নামে এক মাদক পাচারকারীকে। এনসিবি-র দাবি, জেরায় ওই ব্যক্তি বসিতের কথা বলে। তার পরেই বসিতকে গ্রেফতার করা হয়।

গত ২৭-২৮ অগস্ট অন্য একটি মাদক মামলায় আব্বাস লখানি ও কর্ণ অরোরা নামে দু’জনকে মুম্বইতে গ্রেফতার করেছিল এনসিবি। তাদের কাছ থেকে অনেক মারিজুয়ানাও উদ্ধার হয়। তাদের জেরা করেই জ়াইদের কথা জানতে পারেন এনসিবি-র গোয়েন্দারা। যাকে জেরা করে আবার জানা যায় সুশান্ত-ঘনিষ্ঠদের ‘পরিচিত’ বসিতের কথা।

Advertisement

এনসিবি সূত্রে বলা হয়েছে, ‘‘জ়াইদের বান্দ্রায় একটি ছোটখাটো রেস্তরাঁ আছে। লকডাউনের পর থেকে সেই ব্যবসা ভাল চলছে না। জেরায় জ়াইদ স্বীকার করে নিয়েছে যে, সে মাদক ব্যবসায় জড়িত। সেই ব্যবসা থেকে তার ভাল লাভ হত। তার কাছ থেকে নগদ প্রায় দশ লক্ষ টাকা, দু’হাজার ডলার ও দু’শো পাউন্ড মিলেছে।’’ মূলত এক বিশেষ ধরনের মারিজুয়ানা বিক্রি করত এই জ়ায়েদ। বাজারে যার দাম গ্রামপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা বলে জানিয়েছে এনসিবি।

আরও পড়ুন: বিচারসভা বসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, এক ক্লিকেই নির্ধারণ তারকাদের ভাগ্য

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, আটক ও ধৃতদের জেরা করে শৌভিক চক্রবর্তী সম্পর্কে জানতে চাইবে তারা। কারণ সুশান্তের বাবার করা এফআইআরে এই দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। রিয়ার মোবাইল কল ও চ্যাট রেকর্ড ঘেঁটে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) প্রয়াত অভিনেতা ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবের মাদক জোগাড় করা, মাদকের লেনদেন এবং মাদক নেওয়ার বিষয়ে জানতে পেরেছিল বলে দাবি গোয়েন্দাদের। সেই তথ্য ইডি জানিয়েছিল সিবিআই ও এনসিবিকে। এর পরেই তদন্তে নামে এনসিবি। সংস্থার ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা নিজেই বিশেষ দল গঠন করে মুম্বই পাঠান। দলের নেতৃত্বে সংস্থার ডেপুটি ডিরেক্টর কেপিএস মলহোত্র। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে একটি ‘নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবহার’ সংক্রান্ত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে তারা। জানা গিয়েছে, দু’-এক দিনের মধ্যেই শৌভিককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সমান্তরাল ভাবে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিবিআই-ও। আজ নিয়ে দ্বিতীয় দিন সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করল রিয়ার বাবা ইন্দ্রজিৎ চক্রবর্তীকে। সান্ট্রা ক্রুজ়ে ডিআরডিও-র গেস্ট হাউসে আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পৌঁছন ইন্দ্রজিৎ। এখানেই রয়েছে দিল্লি থেকে আসা সিবিআইয়ের দলটি। রিয়া ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা করেছিলেন সুশান্তের বাবা কৃষ্ণকিশোর সিংহ। যে মামলাটির দায়িত্ব পরে দেওয়া হয় সিবিআইকে। আজ ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তের পরিচারক কেশব, পাচক নীরজ, ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা ও বিজ়নেস ম্যানেজার শ্রুতি মোদীকেও। আজ অবশ্য রিয়া, তাঁর মা বা ভাইকে তলব করা হয়নি। গত কাল রিয়ার মা-বাবাকে আট ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। রিয়াকে ইতিমধ্যে চার দিন ধরে প্রায় ৩৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement