সময়ের সঙ্গে আকারে এবং আয়তনে বেড়েছে ডোনা আয়োজিত বসন্ত উৎসব। ছবি: সংগৃহীত।
মাঝে কেটে গিয়েছে তিন তিনটে বছর। অতিমারি বাধ সেধেছিল বসন্ত বরণে। কিন্তু এই বছর আবার ছন্দে ফিরছে ‘দীক্ষামঞ্জরী’। নিজের সংস্থার উদ্যোগে আরও এক বার বসন্ত উৎসবের আয়োজনে মেতেছেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়। নৃত্যশিল্পী আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘মাঝে অতিমারির জন্য উৎসব বন্ধ রাখতে হয়েছিল। গত বছর দোলযাত্রায় আমি লন্ডনে ছিলাম। ওখানেই নেহেরু সেন্টারে অনুষ্ঠান করেছিলাম।’’
কন্যা সানার বয়স তখন বেশ কম। মেয়ের জন্য বাড়িতেই রং খেলার আয়োজন করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ঘরনি। কালের নিয়মে অনুষ্ঠানের পরিসর বাড়ে। বাড়ি থেকে বসন্ত উৎসব উঠে আসে কলকাতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে। ডোনার কথায়, ‘‘বাচ্চারা সব সময়েই একটা সুরক্ষিত পরিবেশে দোল খেলতে চায়। সানার বিশেষ একটা বন্ধুবান্ধব ছিল না। তাই ওরই মতো কয়েক জনকে নিয়ে বাড়িতেই শুরু করেছিলাম। তখন ভাবতেও পারিনি যে এই উদ্যোগ এতটা জনপ্রিয় হবে।’’
উৎসবে নৃত্য পরিবেশন করবেন প্রায় আটশো জন। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু নিজস্ব সংস্থার ছাত্রছাত্রী নয়, এই উৎসবে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন। তার জন্য রয়েছে কর্মশালার ব্যবস্থা। ডোনার নির্দেশনায় গত রবি ও সোমবার কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। ডোনা জানালেন, এ বার প্রায় আটশো জন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করবেন। বললেন, ‘‘আমরা সাধারণত ধ্রুপদী নৃত্যানুষ্ঠান করি। কিন্তু দোলে একটু অন্য ধরনের গান মানুষ শুনতে চান। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে লোকগান এবং বাংলা ও হিন্দি ছবির বহুশ্রুত হোলির গান।’’
তিনটি পর্বে বিভক্ত নৃত্য পরিবেশনাটি মোট ১৮টি গানের মিশেলে সাজানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে ভাষ্যপাঠে থাকবেন উদ্যোগপতি সন্দীপ ভুতোরিয়া। আগামী ৫ মার্চ রবিবার দীক্ষামঞ্জরী এবং প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাদুঘর প্রাঙ্গণে বিকাল ৫.৩০ থেকে শুরু হবে বসন্ত উৎসব।