পরিচালক রাম গোপাল বর্মার ব্লু-আইড গার্ল বলা হত তাঁকে। এক সময়ে রামগোপাল বর্মার প্রতিটা ছবিতেই তাঁকে দেখা যেত। অভিনয় এবং নাচ— দুটোতেই সমান পারদর্শী ছিলেন। বেশ কিছু হিট ছবিও দর্শকদের উপহার দিয়েছেন।
অথচ আজ বলিউড থেকে প্রায় মুছে গিয়েছে সেই অন্তরা মালির নাম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও খুব একটা ধরা পড়েন না তিনি। সেই অন্তরা মালি এখন কী করছেন?
১৯৯৮ সালে বলিউডে অভিষেক তাঁর। ফিল্মের নাম ‘ঢুন্দতে রহে জায়োগে’। বক্স অফিসে একেবারেই চলেনি সেই ছবি।
অন্তরা মালি দর্শকদের নজরে আসেন ১৯৯৯ সালে ‘মস্ট’ ছবির হাত ধরে। তারপর ২০০২ সালে ‘রোড’, ‘কোম্পানি’, ২০০৩ সালে ‘ডরনা মানা হ্যায়’ ছবিগুলোতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়।
২০০৫ সালে তাঁর লেখা ছবি ‘মিস্টার ইয়া মিস’-এ দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই ছবিটা অন্তরাই পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু দর্শক একেবারেই ভাল ভাবে নেয়নি সে ছবি।
২০০২ থেকে ২০০৫, এই তিন-চার বছর কেরিয়ারের গ্রাফ বেশ উঁচুতেই ছিল তাঁর। অনেক ফিল্মের অফারও এসেছিল তাঁর কাছে। তবে ২০০৫ সালের পর আচমকাই যেন বলিউড থেকে ‘গায়েব’ হয়ে যান তিনি। ‘মিস্টার ইয়া মিস’ চূড়ান্ত ব্যর্থ হওযার পর আর কোনও ফিল্মে অভিনয় করতে দেখা যায়নি তাঁকে।
দেখা গেল পাঁচ বছর পর তাঁক কামব্যাক ফিল্ম ‘অ্যান্ড ওয়ান্স এগেন’-এ। অমল পালেকর এই ফিল্মটির পরিচালনা করেছিলেন। ছবিতে একজন সন্ন্যাসিনীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
বলিউডে কামব্যাক করার আগে অবশ্য আরও একটা কারণে খবরে উঠে এসেছিলেন অন্তরা। সেটা ২০০৯ সালে।
ওই বছর গোপনে বিয়ে করেন অন্তরা। বিয়ের সময় জানাজানি না হলেও, কয়েক দিন পরই তাঁর বিয়ের কথা জানাজানি হয়। তাঁর স্বামী চে কুরিয়েন এক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক।
বিয়ের আগে অবশ্য কুরিয়েনের সঙ্গে অনেক হাই-প্রোফাইল পার্টিতে গিয়েছেন অন্তরা। কিন্তু তাঁরা যে বিয়ে করতে চলেছেন তা কখনও বুঝতে দেননি। সব সময় ক্যামেরা থেকে একটু দূরেই থাকতেন তাঁরা।
২০১০ সালে ফিল্ম দুনিয়ায় কামব্যাক করলেও, তার পর থেকে আর কোনও ফিল্মে তাঁকে দেখা যায়নি। কামব্যাক ফিল্মই ছিল তাঁর কেরিয়ারের শেষ ছবি।
বর্তমানে পরিবার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন অন্তরা। অন্তরা এবং চে-র দুই সন্তান। ২০১২ সালে তাঁদের প্রথম সন্তান হয়।