Prosenjit Chatterjee

Prosenjit-Ditipriya: ‘আয় খুকু আয়’-তে বহু রূপে প্রসেনজিৎ! বড়দিনে ‘খুকু’র জন্য নিউ মার্কেটের স্পেশাল কেক

ভোর ৪টেয় উঠে এক ঘণ্টা ধরে রূপটান নিয়ে ৫টায় প্রসেনজিৎ প্রতি দিন পৌঁছে যাচ্ছেন লোকেশনে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ১২:২৯
Share:

‘আয় খুকু আয়’ ছবিয়ে প্রসেনজিৎ এবং দিতিপ্রিয়া।

বড়দিনে বর্ধমানে বাবা-মেয়ে। সেখানেই উদ্‌যাপন। হলে কী হবে? খুকুকে তাঁর বাবা নিউ মার্কেটের বিশেষ দোকানের ফ্রুট কেক খাইয়েছেন! মেয়ের বায়নায় তাঁকে পাঁচতারা হোটেলের বাইরে দাঁড় করিয়ে একের পর এক নানা ভঙ্গির ছবিও তুলে দিয়েছেন! আনন্দবাজার অনলাইনকে বলতে বলতে ‘খুকু’ ওরফে দিতিপ্রিয়া রায় আহ্লাদে আটখানা। আপাতত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, আর ছোট পর্দার ‘রানিমা’ বর্ধমানে। পরিচালক শৌভিক কুন্ডুর ‘আয় খুকু আয়’ ছবির শ্যুট চলছে সেখানেই। বড়দিনের আগেই তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন বাংলার বর্ধিষ্ণু শহরে।

বড়দিনে তাঁর ‘খুকু’কে উপহার দিয়েছেন বুম্বাদা। বাদ দেননি অনুরাগীদেরও। ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রি’র ইনস্টাগ্রামে তাঁর ‘লুক’ দেখে হতবাক সবাই! ছিপছিপে চেহারার প্রসেনজিতের মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। মাথাজুড়ে বড় টাক। চেক শার্ট আর ঢোলা ট্রাউজার্স পরনে। পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘এই একটি চেহারায় নয়, ছবিতে বুম্বাদা বহুরূপী। চারটি লুকে ধরা দিচ্ছেন তিনি। তার জন্য রোজ দেড় ঘণ্টা প্রস্থেটিক রূপটান নিচ্ছেন। এ দিকে শ্যুট চলছে ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত!’’ প্রসেনজিৎ তা হলে ঘুমোচ্ছেন কখন? বিস্মিত পরিচালকও। তাঁর দাবি, টিমের আগে তিনি উঠছেন। ভোর ৪টেয় উঠে এক ঘণ্টা ধরে রূপটান নিয়ে ৫টায় প্রতি দিন পৌঁছে যাচ্ছেন লোকেশনে। এই বয়সে এই অধ্যবসায় অকল্পনীয়।

‘খুকু’র কেমন অভিজ্ঞতা? ‘বুম্বামামু’কে নিয়ে আপ্লুত দিতিপ্রিয়াও। ‘‘আমার ‘মনের মানুষ’র সঙ্গে কাজ করছি কী অনায়াসে! বুম্বামামু এক বারের জন্যও বুঝতে দিচ্ছেন না, তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কখনও ওঁর আগে কাজ শেষ হয়েছে। বেরিয়ে গিয়েছেন। আমার তখনও বাকি। বাড়ি ফেরার পরেই বার্তা পেয়েছি, ‘‘বাবু, আজকে তোকে বলে আসতে পারিনি। কিছু মনে করিস না। আমার প্যাকআপ হয়ে গিয়েছে রে। তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে হয়েছে।’’ দিতিপ্রিয়ার দাবি, পর্দার পিছনের এই রসায়নই ক্যামেরায় প্রতিফলিত হচ্ছে। আলাদা করে আর বাবা-মেয়ের অনুভূতি তাই তৈরি করতে হচ্ছে না।

Advertisement

এই বোঝাপড়া শ্যুটের আগে থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এক সঙ্গে চিত্রনাট্য পড়েছেন প্রসেনজিৎ-দিতিপ্রিয়া। তখনই আলোচনা করেছিলেন, কী ভাবে শট দেবেন। কেমন ভাবে অনুভূতি ফুটিয়ে তুলবেন। তার পরেও শট দিতে দিতে কোনও কিছু চোখে লাগলে ‘খুকু’কে নাকি আদর করে ধরিয়ে দিচ্ছেন প্রসেনজিৎ। ‘খুকু’ও তাঁর পর্দার ‘বাবা’র দেখানো পথে হেঁটে শুধরে নিচ্ছেন তাঁর ভুল। অভিনয় ভাল করলে নাকি চকোলেট উপহার দেন বুম্বাদা? দিতিপ্রিয়া পেয়েছেন? আনন্দে হাওয়ায় ভাসা গলা তাঁর। বললেন, ‘‘বড়দিনের আগের রাত থেকে আমাদের উদ্‌যাপনশুরু। আমি ছবি তুলব বলে প্রচণ্ড বায়না করছিলাম সবার কাছে। কেউ পাত্তা দিচ্ছিলেন না! শেষে বুম্বামামু হোটেল থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, ‘‘তুই পোজ নিয়ে দাঁড়া। আমি ছবি তুলে দিচ্ছি।’’ আমি বিশেষ কেক পেয়েছি বুম্বামামুর থেকে। সবার জন্যই কেক এনেছিলেন। কিন্তু আমারটা বিশেষ ফ্রুট কেক। সারা দিন শ্যুটিং আর বুম্বামামুর সঙ্গে খুনসুটি করতে করতে দিনটা কোথা দিয়ে যেন কেটে গেল!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement