সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য , অঞ্জন দত্ত।
এই নিয়ে ৫ বার জাতীয় পুরস্কার পেলেন তিনি। তার পরেও সৃজিত মুখোপাধ্যায় উৎসবের মেজাজে নেই। তিনি ব্যস্ত তাঁর প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’-এর শেষ পর্যায়ের ডাবিং নিয়ে। এ কথা পরিচালক জানিয়েছেন নেট মাধ্যমে। আপাতত তিনি ডাব করছেন ২ অভিনেতার কণ্ঠ। তাঁরা অনির্বাণ ভট্টাচার্য এবং অঞ্জন দত্ত। ছবির ক্যাপশন বলছে, ২ অভিনেতার প্রতিভায় যথারীতি তিনি মুগ্ধ। বাংলাদেশের লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের থ্রিলারধর্মী উপন্যাস থেকে তৈরি সৃজিতের প্রথম রহস্য সিরিজ। উপন্যাসের নামেই সিরিজ। প্রথম ওয়েবেই টলি, বলি এবং ঢালিউডের এক ঝাঁক তারকাকে দেখতে পাবেন দর্শক। প্রযোজনায় এসভিএফ।
‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ বাংলাদেশের সুন্দরপুরের এক রেস্তোরাঁর নাম। মুশকান জুবেরি তার মালকিন। যাঁর হাতের সুস্বাদু খাবার রেস্তোরাঁর ইউএসপি। যদিও এই রেস্তোরাঁয় খেতে এসে অনেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন। একই ভাবে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনারও একাধিক ইউএসপি। কী কী উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে তাঁর প্রথম সিরিজে? এর আগে এক সাক্ষাৎকারে সৃজিত জানিয়েছেন, তাঁর সিরিজে দেখা যাবে বাংলাদেশের আজমারি হক বাঁধন, বলিউডের রাহুল বোস এবং কলকাতার অনির্বাণ ভট্টাচার্য, অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ চক্রবর্তী। যদিও পরিচালকের আক্ষেপ, উপন্যাসের পাশাপাশি বাংলাদেশি অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলা কুশলী নিয়ে কাজের ইচ্ছে ছিল তাঁর। গোটা সিরিজ শ্যুট করার ইচ্ছে ছিল ও পার বাংলায়। অতিমারি সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে। বদলে কলকাতা এবং আশপাশে শ্যুট করেই তৃপ্ত হতে হয়েছে তাঁকে।
থ্রিলারে মাস্টারপিস সৃজিত। ফলে, সিরিজেও যে তিনি ছক্কা হাঁকাবেন তাই নিয়ে দ্বিমত নেই দর্শকদের। তবে অতিমারির কারণে সিরিজের অভিনেতা নির্বাচনেও বদল আনতে বাধ্য হয়েছেন পরিচালক। যেমন? সৃজিতের জবানিতে, ‘মুশকান জুবেরি’র জন্য তাঁর প্রথম পছন্দ ছিল পাওলি দাম। শেষ মুহূর্তে ডেটের সমস্যা হওয়ায় পাওলির জায়গায় বাঁধন আসেন। বাঁধনের পাশাপাশি প্রধান চরিত্র ‘আতর আলি’র জন্য বেছেছিলেন চঞ্চল চৌধুরীকে। ভেবেছিলেন ফজলুর রেহমান বাবুর কথাও। পরে ‘আতর আলি’ নির্বাচিত হন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তদন্তকারী অফিসার রাহুল বোস (নিরুপম চন্দ)। ‘তপন শিকদার’ চরিত্রে অনির্বাণ চক্রবর্তী। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন অঞ্জন দত্ত। অঞ্জনের চরিত্রটি যদিও পরিবর্তিত।
তবে অনির্বাণ তাঁকে নিরাশ করেননি, এ কথা নিজেই স্বীকার করেছেন সৃজিত। ডাবিংয়ের ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘অভিনয়ে, কণ্ঠস্বরে অনির্বাণ নিখুঁত আতর আলি!’ ঠিক যে ভাবে এর আগে অনির্বাণ বলেছিলেন, ৭ বার ৭ রকমের চরিত্র তাঁকে উপহার দিলেন তাঁর ‘মেন্টর’!