সিদ্ধার্থ আনন্দ।
হৃতিক রোশন ও টাইগার শ্রফকে এক ফ্রেমে বন্দি করেছেন পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ। পুজোর আগেই মুক্তি পাচ্ছে বছরের সবচেয়ে বড় অ্যাকশন থ্রিলার ‘ওয়র’। ‘‘হৃতিক ও টাইগারের অনুরাগীদের সংখ্যা প্রচুর। দু’জনেরই স্টার ভ্যালু রয়েছে। তাই দুই সুপারস্টারকে এক ছবিতে আনায় চ্যালেঞ্জের চেয়েও বেড়ে যায় দায়িত্ব,’’ বলছিলেন পরিচালক।
এক সময়ে ‘সালাম নমস্তে’, ‘বচনা অ্যায় হাসিনো’, ‘অনজানা অনজানি’র মতো ছবির পরিচালক সিদ্ধার্থ ইদানীং অ্যাকশনেই মন দিয়েছেন। তাঁর শেষ রিলিজ় ছিল ‘ব্যাং ব্যাং’। অক্টোবরেই শুরু হবে তাঁর আগামী ছবি ‘র্যাম্বো’র রিমেক। ‘‘একটা সময়ে আমি রোম্যান্টিক কমেডি বানাতাম। কিন্তু এখন প্রেমের গল্পে কনফ্লিক্ট খুঁজে পাই না। তাই যত দিন না নতুন আইডিয়া মাথায় আসছে, অ্যাকশন ছবিই বানাব। এমনিতেও এই ইন্ডাস্ট্রিতে খুব কম পরিচালকই আছেন, যাঁরা এই জঁরে ছাপ ফেলেছেন,’’ মত সিদ্ধার্থের।
কিন্তু এই বিগ বাজেট অ্যাকশন মুভি মানেই কি ব্রেনলেস? ‘ব্যাং ব্যাং’-এর গল্পেও লজিকের বড্ড অভাব ছিল। ‘‘অ্যাকশন ছবিতে কিছুটা সিনেম্যাটিক লাইসেন্স নিতে হয়। এটা তো রিয়্যালিস্টিক ছবি নয়। তবু গল্পে লজিক রাখার চেষ্টা করি। ‘মিশন ইমপসিবল’, ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’-এর মতো ছবিকে নিশ্চয়ই ব্রেনলেস বলব না। ‘ব্যাং ব্যাং’ও অ্যাকশন এন্টারটেনার ছিল,’’ যুক্তি দিলেন পরিচালক।
এই ছবিতে বাণী কপূরকে ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে। তবে বাণীর চরিত্রটির অ্যাকশন দৃশ্য নেই। হৃতিক ও টাইগারের জন্য যত অ্যাকশন আর নারীচরিত্র শুধুই আইক্যান্ডি? জবাবে সিদ্ধার্থ বললেন, ‘‘যদি আইক্যান্ডি ভাবতাম, তা হলে আরও একজন নায়িকাকে রাখা হত। বাণীর চরিত্রটির গুরুত্ব রয়েছে প্লটে। যত দিন না ছবি মুক্তি পাচ্ছে, ওকে নিয়ে অনেক জল্পনা চলবে। সেটা ছবির জন্য ভালই।’’
সেটে সিদ্ধার্থ, হৃতিক, টাইগার মিলে একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড় করেছেন। তবে এ-ও শোনা গিয়েছে, ট্রেলারে তাঁর স্ক্রিন প্রেজ়েন্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন হৃতিক। ‘‘কে বলেছে? হৃতিককে তো তা হলে জিজ্ঞেস করতে হয়! আমার ছবিতে এডি থেকে শুরু করে অভিনেতা, কারও কোনও বিষয়ে আপত্তি থাকলে, সেটা ফাইনাল হয় না,’’ বললেন তিনি।
গত দু’-তিন বছরে স্টাইলনির্ভর মেগা বাজেটের ছবির তুলনায় কনটেন্টভিত্তিক ছোট বাজেটের ছবি অনেক বেশি লাভের মুখ দেখেছে। ‘‘ছবির টিজ়ার ও ট্রেলারে যে রেকর্ডসংখ্যক ভিউজ় এসেছে, তাতে এই ধরনের ছবির প্রতি দর্শকের আগ্রহ যে কমেনি, তা স্পষ্ট,’’ সিদ্ধার্থের ভরসা রয়েছে তাঁর ‘বয়েজ়’-এর উপরে।