‘ওস্তাদ’ ছবিতে রণজয় বিষ্ণুর লুক। ছবি: সংগৃহীত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাঙালিয়ানার অস্থিমজ্জায় রয়ে গিয়েছেন তিনি। এই নামটিকে ভেঙে তৈরি হয়েছে চারটি চরিত্র। তাদের মধ্যে দিয়েই রবীন্দ্রনাথের বহুমুখী দর্শনকে ছবিতে এক সূত্রে গাঁথতে চেয়েছেন পরিচালক পলাশ দে। ছবির নাম ‘ওস্তাদ’।
গল্পের সূত্র ধরিয়ে দিলেন পরিচালক। রবি, ইন্দ্র, নাথ ও ঠাকুর— এই চারটি চরিত্রকে নিয়ে কাহিনি বিন্যাস করেছেন পরিচালক। নেপথ্যে রয়েছে পরিচালকের লেখা একটি উপন্যাস। রবি পরিশ্রম করে একটি পাঠশালা গড়ে তুলতে চাইছে। খ্যাপাটে ইন্দ্র কবিতা, গান লেখে। সে প্রকৃতির সঙ্গে কথা বলে, আড্ডা দেয়। সেলস্ম্যান নাথ আবার কোনও ‘প্রাণ’-এর হত্যার বিরোধী। ঠাকুর ছবি আঁকে। তার উপলব্ধি শিল্প মানুষের মধ্যে নিহিত হিংসাকে ধ্বংস করতে পারেনি। চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়েই রবীন্দ্র দর্শনকে তুলে ধরতে চেয়েছেন পরিচালক। চারটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন যথাক্রমে গম্ভীরা ভট্টাচার্য, রণজয় বিষ্ণু, শঙ্কর দেবনাথ ও দেবেশ রায়চৌধুরী।
‘ওস্তাদ’ ছবিতে (বাঁ দিক থেকে) দেবেশ রায়চৌধুরী, গম্ভীরা ভট্টাচার্য, শঙ্কর দেবনাথ। ছবি: সংগৃহীত।
গল্পে আবার এই চার জনের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে যোগসূত্র তৈরি হয়েছে রবীন্দ্র অনুরাগীদের পরিচিত মৃণালিনী, কাদম্বরী, বিশু, নন্দিনী ও ভানুসিংহ নামের চরিত্ররা। ছবির অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন স্নেহা বিশ্বাস, অমৃতা মুখোপাধ্যায়, শুভজিৎ বক্সী, চিত্রাঙ্গদা সমাদ্দার প্রমুখ।
‘তরঙ্গ’ ও ‘অসুখওয়ালা’র পর এটি পরিচালকের তৃতীয় ছবি। পলাশ জানালেন, রবীন্দ্রনাথের জীবন নিয়ে কাজের ইচ্ছা তাঁর দীর্ঘ দিনের। কিন্তু কারণ কী? বললেন, ‘‘বাংলায় রবীন্দ্রনাথের সৃষ্টি নিয়ে একাধিক কাজ হয়েছে। কিন্তু ওঁর পূর্ণ জীবন দর্শন নিয়ে কোনও কাজ হয়নি। সেখান থেকেই ছবির ভাবনার সূত্রপাত।’’ রবীন্দ্রনাথের জীবন দর্শন নিয়ে ছবি, কিন্তু রবীন্দ্রনাথের কোনও চরিত্র থাকছে না বলে জানালেন পরিচালক।
ছবির সঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন দেবজ্যোতি মিশ্র। ক্যামেরায় অমর দত্ত। অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশন প্রযোজিত ছবিটির শুটিং গত মাসে শেষ হয়েছে। আপাতত ছবিটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাড়ি দেওয়ার প্রতীক্ষায়।