‘কমার্শিয়াল ছবি থেকে অনেক দিন বেরিয়ে এসেছি’

বলছেন এক সময়ের হিট ছবির পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। সামনে আনন্দ প্লাসঅঞ্জন চৌধুরীর ভাবশিষ্য পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী কিন্তু বাণিজ্যিক ছবি বানালেও মাঝে মাঝেই নিজের ঘরানা বদলে নিয়েছেন।

Advertisement

অন্তরা মজুমদার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০০:০১
Share:

হরনাথ

বাংলা বাণিজ্যিক ছবিতে এক কালে সাফল্যের দীর্ঘ রেকর্ড গড়েছিলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। তবে ইন্ডাস্ট্রি পাল্টে গিয়েছে। পাল্টেছেন দর্শকও। সেটা তিনিও টের পাচ্ছেন। নেটফ্লিক্স প্রজন্মের জন্য তৈরিও করছেন নিজেকে। কিন্তু বদলটা কী ভাবে দেখছেন হরনাথ? ‘‘খুব ভাল। বাংলা সিনেমার অনেক যুগ দেখলাম। যুগের সঙ্গে সঙ্গে কাজেরও পরিবর্তন হয়েছে। শহরভিত্তিক ছবি হচ্ছে। তবে কমার্শিয়াল ছবি মরে যায়নি। নিজের মতো করে চলছে... হলে চলছে না হয়তো। কিন্তু টেলিভিশনে হাই টিআরপি দিয়ে চলছে,’’ পরিচালকের মত। নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখতেই ‘ভূতচক্র প্রাইভেট লিমিটেড’-এর মতো হরর কমেডি বানিয়েছেন। যে জঁর এখন বলিউডেও ঘনঘন দেখা যাচ্ছে। আগামী মাসেই মুক্তি পাবে ছবি। ঋত্বিক চক্রবর্তী-পার্নো মিত্রকে নিয়ে পরবর্তী থ্রিলারের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তাঁর দাবি, ‘‘এই রকম ছবি নেটফ্লিক্সের জন্য একদম পারফেক্ট।’’

Advertisement

অঞ্জন চৌধুরীর ভাবশিষ্য এই পরিচালক কিন্তু বাণিজ্যিক ছবি বানালেও মাঝে মাঝেই নিজের ঘরানা বদলে নিয়েছেন। বলছিলেন, ‘‘আমি ‘চলো পাল্টাই’ করেছিলাম প্রসেনজিৎকে (চট্টোপাধ্যায়) নিয়ে। ছবিটা দেখে বুম্বাকে ফোন করেছিল কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। বলেছিল, পরিচালকের নামের জায়গায় যদি আমার বদলে ওর বা সৃজিতের (মুখোপাধ্যায়) নাম থাকত, দর্শক বলতেন ‘দারুণ’! আমি কমার্শিয়াল ছবি করি বলে দর্শক ছবিটা দেখলেন না!’’ এখন কি মনে হয়, আধুনিক দর্শকের পালস ধরতে আরবান ছবি করা দরকার? ‘‘ভাল ছবি করা দরকার। আমি কারও মতো করে কেন ছবি করব? কেউ কারও মতো হতে পারে না। একেবারে কমার্শিয়াল ছবি থে‌কে আমি অনেক দিনই বেরিয়ে এসেছি। ‘চলো পাল্টাই’ করলাম। তার পরে ‘ছায়ামানুষ’, ‘ধারাস্নান’ বা এর পরে যেটা করব... এখন এ রকম ছবিই করতে চাই,’’ পরিচালকের উত্তর।

কিন্তু এক জন পরিচালক কোন ধরনের ছবি করতে পারবেন, তার অনেকটাই নির্ভর করে প্রযোজকের উপরে। এখন সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে পরপর কাজ করছেন। কিন্তু ভেঙ্কটেশের সঙ্গে অনেক দিনই ছবি নেই। কেন? হাসতে হাসতে উত্তর দিলেন, ‘‘মণি-শ্রীকান্ত তো ব্যবসা গুটিয়ে চলে যাচ্ছিল। প্রসেনজিৎ তখন আমাকে বলেছিল, শেষ চেষ্টা করতে। তার পরেই ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ করি। রিলিজ়ের আগে কেউ একটা পয়সাও পারিশ্রমিক নিইনি। ছবিটা কতটা সাফল্য পেয়েছিল সকলেই জানেন। ওদের সঙ্গে শেষ ‘চলো পাল্টাই’ করেছিলাম। এখন ওদের প্রয়োজন পড়ে না, তাই হয়তো ডাকে না।’’

Advertisement

এক সময়ে তাঁরা ছবি করতেন পারিবারিক আবহে। এখন দিনকাল বদলে গিয়েছে, সবটাই পেশাদার, অনেকটাই কর্পোরেট। সকলে আগের মতো যোগাযোগ রাখেন তাঁর সঙ্গে? ‘‘সকলেরই ব্যস্ততা রয়েছে। যে যার মতো কাজ করছে। এর মধ্যে আগের মতো লাইফটা নেই,’’ ম্লান হাসি পরিচালকের মুখে।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement