দেবীদাস ভট্টাচার্য।
ভাল নেই পরিচালক দেবীদাস ভট্টাচার্য। করোনা থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরেও। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুতর তাঁর অবস্থা। পরিচালকের একটি কিডনি না থাকার ফলে, ক্রমশই জটিল হচ্ছে তাঁর শারীরিক অবস্থা। এই মুহূর্তে দেবীদাস ভর্তি রয়েছেন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে রাখা হয়েছে আইসিইউ-তে।
পরিচালকের স্ত্রী অনিন্দিতা সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ২ ডিসেম্বর প্রথম জ্বর আসে। সর্দি-কাশিও শুরু হয়।
দেবীদাস প্রথমে ভর্তি হয়েছিলেন বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অনিন্দিতার অভিযোগ, হাসপাতালের পরিষেবা স্বচ্ছ্ব না হওয়ায় তিনি পরিচালক স্বামীকে সরিয়ে নিয়ে আসেন ঢাকুরিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই অ্যান্টিবডি টেস্ট করতে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রিপোর্টে অ্যান্টিবডির পরিমাণ কম দেখালে তাঁরা প্লাজমা থেরাপির কথা ভাববেন। না হলে ভেন্টিলেশনে রাখা হবে দেবীদাসকে।
আরও পড়ুন: ‘পবিত্র ধর্ম’র অধিকার শুধুই পুরুষদের? প্রশ্ন তুলবে ফারহা খাতুনের ছবি
কথা প্রসঙ্গে অনিন্দিতা আরও জানান, গত ৩০ বছরের দাম্পত্যে তিনি দেখেছেন, ঠাণ্ডা লাগার ধাত থাকায় সর্দি-জ্বর দেবীদাসের নিত্য সঙ্গী। ফলে, প্রথম দিকে পরিচালক নিজেও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামাননি। অনিন্দিতা নিজেও সাড়ে ৯ মাস পরে গিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুতে। সেই সময় দেবীদাস ব্যস্ত ছিলেন আকাশ আট চ্যানেলের ‘বৃদ্ধাশ্রম ২’ পরিচালনার কাজে। ধারাবাহিকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেল লিলি চক্রবর্তী। এছাড়াও রয়েছেন, ছোট পর্দা এবং মঞ্চের একাধিক জনপ্রিয় অভিনেতা।
জ্বর আসার পরেই দেবীদাস সেটে যাওয়া বন্ধ করে দেন বলে জানান তাঁর স্ত্রী। চ্যানেল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কোভিড টেস্ট হয় পরিচালকের। রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
দেবীদাসের পারিবারিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সোমবার ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়। সেখানে আর্থিক ভাবে পরিচালকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ও সনম’: ফের লাকি আলি নেশায় মত্ত দেশ