সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে ছবির পোস্টার প্রকাশের সময় বিক্রম, প্রসেনজিৎ, গার্গী, ফিরদৌসুল এবং অতনু। ছবি: সংগৃহীত।
বৃহস্পতিবার বিকালের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ প্রাঙ্গণ। চলছে ‘জ়্যাভোৎসব’। ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ের মধ্যেই মঞ্চে উঠলেন তিনি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। গল্প আড্ডা ছেড়ে সকলের দৃষ্টি তখন মঞ্চে। কলেজের বার্ষিক ফেস্টের মধ্যেই তাঁর নতুন ছবি ‘শেষ পাতা’র পোস্টার প্রকাশ করল টিম। প্রসেনজিৎ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক অতনু ঘোষ, প্রযোজক ফিরদৌসুল হাসান, গার্গী রায়চৌধুরী এবং বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।
‘শেষ পাতা' ছবিতে প্রসেনজিতের লুকে রয়েছে চমক। ছবি: সংগৃহীত।
এর আগে মেট্রো স্টেশনে ছবির ট্রেলার প্রকাশ করেছেন প্রসেনজিৎ। এ বার ছাত্রছাত্রীদের ভিড়ে ছবির পোস্টার। অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘নতুন প্রজন্ম যে ভাল বাংলা ছবি দেখে না, সেটা আমি বিশ্বাস করি না। যখন গানের ওপারে প্রযোজনা করেছিলাম, তখন সবাই বলেছিলেন কেউ দেখবে না। কিন্তু তার পর সকলেই ভুল প্রমাণিত হয়েছিলেন।’’ প্রসেনজিৎ নিজে এক সময় সেন্ট জ়েভিয়ার্সের ছাত্র ছিলেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘‘অনেক স্মৃতি ফিরে আসছে। এখানকার ক্লাসরুমের কথা মনে পড়ছে। এই মাঠে প্রচুর ফুটবল খেলেছি। এখনও যেন মনে হয় সে দিনের কথা।’’
উল্লেখ্য, এই ছবিতে প্রসেনজিতের লুক নিয়ে কৌতূহল রয়েছে। তিনি এখানে লেখক বাল্মীকি চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রে। এই ছবি নিয়ে খুব বেশি এখনই খোলসা করতে চাইছেন না পরিচালক। অতনু বললেন, ‘‘বলা হয় কারও জমে থাকা ঋণ শোধ করার পর সেই মানুষটা স্বাধীন হয়ে যান। জন্মের পর থেকেই আমরা ঋণী হতে শুরু করি। কিন্তু সব ঋণ কি শোধ করা যায়? ছবিতে এই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজার চেষ্টা করেছি।’’ পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাবে ‘শেষ পাতা’।