পরিচালক ও প্রযোজক আবীর সেনগুপ্ত। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
সত্তরের দশকে বলিউউডের তিনটি ছবি— ‘বাওয়ার্চি’, ‘কোশিশ’ এবং ‘মিলি’। তিনটি ছবিই ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে রয়েছে। প্রায় পাঁচ দশক পর এই তিন জনপ্রিয় ছবিকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনটি ছবিরই রিমেকের জন্য গাঁটছড়া বেঁধেছেন পরিচালক আবীর সেনগুপ্ত, অনুশ্রী মেহতা এবং প্রযোজক সমীর রাজ সিপ্পি। মুম্বই থেকে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনটি ছবি নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনা জানালেন আবীর।
‘বাওয়ার্চি’ এবং ‘মিলি’-র পরিচালক ছিলেন হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়। প্রথম ছবিতে মুখ্য চরিত্রে ছিলেন রাজেশ খন্না। দ্বিতীয় ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং জয়া বচ্চনের জুটি এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। অন্য দিকে, গুলজার পরিচালিত ‘কোশিশ’ ছবিতে সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন জয়া। তিনটি ছবিরই প্রযোজক ছিলেন এন সি সিপ্পি। তাঁর নাতিই সমীর সিপ্পি।
এক সময় বাংলা ছবির হাত ধরেই পরিচালনায় এসেছিলেন আবীর। সেই ছবির নাম ‘যমের রাজা দিল বর’। সম্প্রতি, আবীর প্রযোজিত এবং রাধিকা আপ্তে অভিনীত ‘মিসেস আন্ডাকভার’ ছবিটিও মুক্তি পেয়েছে ওটিটিতে। বিখ্যাত এই তিনটি ছবি প্রযোজনা প্রসঙ্গে আবীর বললেন, ‘‘আসলে আমি এই ধরনের ছবি দেখেই বড় হয়েছি। কারণ ছোটবেলায় লেখক হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। এই ছবিগুলোর গল্পের কিন্তু চিরকালীন আবেদন রয়েছে। পরে পরিচালনায় আসার পর বুঝি এই গল্পগুলোকে নতুন ভাবে বলা প্রয়োজন।’’ তবে ‘রিমেক’ শব্দটির পরিবর্তে নতুন করে নির্মাণের উপরের জোর দিতে চাইলেন আবীর। কারণ, তিনি মনে করেন, ‘‘এখনকার অনেক ছেলেমেয়েকে দেখেছি যারা ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে দেখেনি’! তাই নতুন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখেই আমাদের এই প্রয়াস।’’
অতীতে বলিউড একাধিক সফল এবং ব্যর্থ রিমেকের সাক্ষী থেকেছে। কখনও দর্শকের কাছে মূল ছবির আবেদনই গুরুত্ব পেয়েছে। আবার কখনও মূল ছবি এবং রিমেক দুই-ই প্রশংসিত হয়েছে। কতটা কঠিন হতে চলেছে আবীরের এই জার্নি? বললেন, ‘‘আমি উত্তেজিত। আমাদের তিন জনেরই ভয় করছে। রিমেক কেন, যে কোনও ছবির ক্ষেত্রেই এই অনুভূতিগুলো না থাকলে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করা যায় না।’’
তিনটি ছবির মধ্যে কোন ছবির কাজ আগে শুরু হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এমনকি, কাস্টিংও এখনই খোলসা করতে চাইলেন না আবীর। তিনি নিজে কি এর মধ্যে কোনও একটি ছবি পরিচালনা করবেন? হেসে বললেন, ‘‘সেটাও এখনও ভেবে দেখিনি। এমন হতেই পারে নতুন পরিচালকদের নিয়ে আসা হবে। ঠিক সময়ে আমরা সবই জানিয়ে দেব।’’
বাংলা ছবি নিয়ে কী ভাবছেন আবীর? হেসে বললেন, ‘‘কেরিয়ারের প্রথম ছবি কলকাতায় শুট করি। তাই কলকাতাকে ভুলি কী ভাবে। খুব তাড়াতাড়িই আবার কলকাতায় কাজ করব, কিন্তু সেই প্রজেক্ট নিয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছি না।’’