(বাঁ দিকে) জীতু কমল। নবনীতা দাস (ডান দিকে) । ছবি : সংগৃহীত।
জুন মাসের শেষের দিকে স্বামী জীতু কমলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন টেলি অভিনেত্রী নবনীতা দাস। ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে বিচ্ছেদের কথা জানান অভিনেত্রী। গত তিন মাস ধরেই পথ আলাদা হয়েছে তাঁদের। যদিও আইনি প্রক্রিয়া এখনও বাকি। এর মধ্যে নতুন ছবির শুটিংয়ে লন্ডন পাড়ি দিয়েছেন জীতু, নায়িকা শ্রাবন্তী। এ দিকে কলকাতায় সিরিয়ালের শুটিংয়ে ব্যস্ত নবনীতা। ব্যস্ততার মাঝেই জীতু-নবনীতা সমাজমাধ্যমের পাতায় ফুটে উঠছে তাঁদের যাপনের ছবি। চলছে একে অপরের উদ্দেশে প্রচ্ছন্ন সব পোস্ট। এ বার নবনীতা তাঁর পোস্ট ইঙ্গিত দিলেন তাঁর মানসিক অবস্থার। মনোবিদের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা কী ভাবে পূরণ করছেন, সেই ছবি তুলে ধরলেন অভিনেত্রী।
টলিপাড়ার অন্দরের খবর, নায়কের সঙ্গে আলোচনা না করেই সটান নিজেদের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করে দেন নায়িকা। নবনীতা আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছিলেন, “আমরা তিন মাস ধরেই আলাদা ছিলাম। এখন আমার পক্ষেও এটা বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মতের মিলও হচ্ছিল না অনেক বিষয়ে। জীতুর জীবনে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, বলতে পারব না। কিন্তু আমার হচ্ছিল।’’ যদিও এখন পর্যন্ত জীতু তাঁদের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি। তবে মাঝেমধ্যেই নিজের ফেসবুকের পাতায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন। এ বার নবনীতা পোশাক বদলের এক গুচ্ছ ছবি দিয়ে লেখেন, ‘‘মনোবিদের কাছে যাওয়ার থেকে কেনাকাটা করাটাই কম খরচের।’’ অনেকেই মন্তব্য করেছেন, অভিনেত্রীর মানসিক অবস্থা ভাল নেই। কারও কারও আবার ধারণা, জীতুর উদ্দেশেই এমন পোস্ট দিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও নবনীতা কোনও মন্তব্যেরই পাল্টা জবাব দিতে যাননি।
২০১৯ সালের ৬ মে বিয়ে করেন তাঁরা। প্রায় তিন বছরের দাম্পত্য জীবন। এ বছরের বিবাহবার্ষিকীটা তাঁরা কাটিয়েছেন লন্ডনে। তবে উদ্যাপনের কোনও ছবি পোস্ট করেননি। তখন থেকেই ঘনিষ্ঠমহলে তৈরি হয়েছিল নানা রকমের জল্পনা। তবে সবটাই তখন উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তাতে অবশ্য শেষরক্ষা করতে পারলেন না জীতু-নবনীতা।