Boudhyayan Mukhopadhyay

Abinandan Banerjee: মেঘ-মানুষের প্রেম কাহিনির অন্য উড়ান, ইউরোপের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মানিকবাবুর মেঘ’

এ বছর তালিন ব্ল্যাক নাইটস চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ছবির বিভাগে একমাত্র দক্ষিণ এশীয় ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম ছবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২১ ১৪:০৭
Share:

পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘মানিকবাবুর মেঘ’।

ছবির নামে কি সত্যজিতের গন্ধ? বাঙালি দর্শকের আবেগকে একটু উস্কে দিতে চাওয়া? আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে হেসে ফেললেন পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়। “সত্যজিৎ রায়ই হতে হবে কেন? মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় নন কেন? আসলে এমন মহীরুহ কাউকেই ছুঁতে চাওয়া নয়। বরং এমনিই, বলা যায় অনুপ্রাসের কথা মাথায় রেখে এমন নামকরণ,” বলছেন পরিচালক।

এই প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি পরিচালনা অভিনন্দনের। আর তাতেই বাজিমাত। মেঘ-মানুষের প্রেমের এক নির্বাক কাহিনি পাড়ি দিচ্ছে ইউরোপে। এ বছর এস্তোনিয়ার তালিন ব্ল্যাক নাইটস চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম ছবির বিভাগে একমাত্র দক্ষিণ এশীয় ছবি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে বৌদ্ধায়ন মুখোপাধ্যায় ও মোনালিসা মুখোপাধ্যায় প্রযোজিত ‘মানিকবাবুর মেঘ’। নভেম্বরের শুরুতে সেখানেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথম বার প্রদর্শিত হবে ছবিটি। সেই উপলক্ষে ইউরোপ পাড়ি দিচ্ছে ছবির গোটা দল।

সাফল্যের স্বাদ অবশ্য মিলেছে জানুয়ারিতেই। এনএফডিসি ফিল্ম বাজার মঞ্চে বিশেষ ছবির গোত্রে জায়গা করে নিয়েছে ‘মানিকবাবুর মেঘ’। ছবিতে ‘মানিকবাবু’-র ভূমিকায় চন্দন সেন। অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন দেবেশ রায়চৌধুরী, নিমাই ঘোষ, ব্রাত্য বসুর মতো অভিজ্ঞরা। প্রয়াত অভিনেতা অরুণ গুহঠাকুরতারও শেষ কাজগুলির একটি এ ছবি।

টুকরো টুকরো মুহূর্তের কোলাজ। মেঘের সঙ্গে মানিকবাবুর না-মানুষী প্রেম বিনিসুতোয় গাঁথা। এবং ‘কথাহীন’ ভাষায় এগিয়ে চলা কাহিনি। প্রযোজক হিসেবে বৌদ্ধায়নেরও এটিই প্রথম ছবি। সঙ্গী মোনালিসা। পরিচালকের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি। তাতে সে ছবি নির্বাক। প্রযোজক হিসেবে কতটা ঝুঁকির ছিল?

Advertisement

বাজিমাত করল ‘মানিকবাবুর মেঘ’

মোনালিসার কথায়, “এর আগে আমাদের ছবির ‘তিন কাহন’-এর চিত্রনাট্য লিখেছিলেন অভিনন্দন। তখনই বৌদ্ধায়ন কথা দেয়, ওঁর প্রথম ছবি হবে আমাদের প্রযোজনাতেই। অভিনন্দনের গল্প বলার ক্ষমতা, পড়াশোনা আর মননে আস্থা রয়েছে আমাদের। আর ‘মানিকবাবুর মেঘ’-এর গল্প শুনে মনে হয়েছিল, এ ছবি আমাদের করতেই হবে।”

দু’বছর লেগেছিল ছবির গল্প লিখতে। তার পরেই অতিমারির ধাক্কা। অভিনন্দন অবশ্য বলছেন, তাতে শাপে বরই হয়েছে। গত দু’বছরে সময় নিয়ে, যত্ন করে ছবিটা বানাতে পেরেছেন তাঁরা।

আপাতত আন্তর্জাতিক মঞ্চে যাত্রা শুরু। সেখানে দর্শকের ভাললাগা কুড়োনোর অপেক্ষায় অভিনন্দন-মোনালিসা-বৌদ্ধায়নরা। তার পরে কলকাতার দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চান এ ছবিকে। প্রেক্ষাগৃহের পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মেও ছবি মুক্তির ভাবনা রয়েছে নির্মাতাদের।

কিন্তু নির্বাক ছবি এবং একেবারে অচেনা মননের গল্প। বাঙালি দর্শকের মনের কাছাকাছি পৌঁছতে পারবে তো? মোনালিসা নিশ্চিত, দর্শক তাঁদের মননশীলতা দিয়ে, ভাল ছবির খিদে থেকেই আপন করে নেবে মেঘের সঙ্গে মানুষের প্রেমের এই অন্য রকম কাহিনিকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement