(বাঁ দিক থেকে) শোভন গঙ্গোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, দীপ্সিতা ধর। গ্রাফিক : সনৎ সিংহ।
১৫ জুলাই সপ্তাহের প্রথম দিনই চার হাত এক হল শোভন গঙ্গোপাধ্যায় ও সোহিনী সরকারের। শহর থেকে দূরে এক খামারবাড়িতে ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-পরিজন নিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন গায়ক ও নায়িকা। উপস্থিত ছিলেন সোহিনীর মা। শোভনের পরিবারও উপস্থিত ছিল বিয়েতে। তবে শোভনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার আগে থেকেই বৌদি সোহিনীর কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেছেন ননদ। সেই ননদ আবার অন্য কেউ নন, সিপিএমের তরুণ তুর্কি নেতা, গত লোকসভা নির্বাচনে শ্রীরামপুরের বাম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর।
গুঞ্জনটা বেশ কয়েক দিন ধরেই চলছিল টলিপাড়ায়। যদিও নিজেদের বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকে মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন যুগল। ১৪ জুলাই কলকাতার অদূরে এক খামারবাড়িতে পৌঁছন তাঁরা। ১৫ তারিখ আইনি মতে বিয়ে সেরেছেন শোভন-সোহিনী। তবে সিঁদুরদান যেমন হয়েছে, তেমনই গায়েহলুদের মতো প্রাক্-বিবাহ অনুষ্ঠানও হয়েছে। সেই গায়েহলুদ অনুষ্ঠানের ছবি দিয়েছেন অভিনেত্রীর ননদ দীপ্সিতা। বাম নেত্রী আসলে শোভনের মাসতুতো বোন। বিয়েতে হাজির ছিলেন তিনি।
গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে দীপ্সিতার পরনে ছিল হলুদ রঙের শাড়ি, সঙ্গে সরু ফিতের ব্লাউজ়, চোখে রোদচশমা। দাদার বিয়ে বলে কথা! ছবি নিয়ে কড়াকড়ি ছিল। তবে দীপ্সিতা জানান, “যখন কনে নিজে এ ভাবে সাজার নির্দেশ দেন, তখন তাঁর কথা মানা ছাড়া অন্য উপায় থাকে না।” দীপ্সিতা আসলে বৌদি সোহিনীর কথাই উল্লেখ করেছেন পোস্টে, কেবল নামটা ঊহ্য রেখেছেন।