দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি, আমেরিকায় কনসার্ট করেছেন পঞ্জাবি সঙ্গীতশিল্পী দিলজিৎ দোসাঞ্জ। ‘হাউসফুল’ ছিল সেই অনুষ্ঠান। তার পর কানাডায় গানের অনুষ্ঠান করেন শিল্পী। সেখানে অনুষ্ঠানের আগে শিল্পীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার কনসার্টের টিকিটও প্রায় সব বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। সে কথা ফলাও করে সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন দিলজিৎ। এ বার তাঁর পালা ভারত ভ্রমণের। মোট ১০ টি শহরে ঘুরে ঘুরে অনুষ্ঠান করবেন দিলজিৎ। শোয়ের নাম ‘দিল-লুমিনাটি ইন্ডিয়া ট্যুর’। প্রথম অনুষ্ঠান দিল্লিতে, তার পর হায়দরাবাদ, আমদাবাদ, লক্ষ্ণৌ, পুণের পর তিনি আসবেন কলকাতায়। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিপত্তির শুরু টিকিট বুকিং নিয়ে।
এ বার দিলজিতকে টিকিট সংক্রান্ত অস্বচ্ছতার কারণে আইনি নোটিস পাঠালেন তাঁরই এক মহিলা অনুরাগী। পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন গায়কও! আগামী ২৬ অক্টোবর দিল্লিতে গানের অনুষ্ঠান করবেন দিলজিৎ। তার পর গোটা নভেম্বর মাসটা জুড়ে দেশের অন্য শহরে। শেষ অনুষ্ঠান হবে গুয়াহাটিতে। কনসার্টের কথা ঘোষণার বেশ কিছু দিন পর টিকিট বুকিং শুরু হয়। একটি বেসরকারি প্লাটফর্মের মাধ্যমে কাটা যাচ্ছে টিকিট। কিন্তু, সেখানেই নাকি গোলমাল।
দু’টি ধাপে টিকিট বুকিং হওয়ার কথা। প্রথমে প্রি-বুকিং পর্ব দু’দিন ধরে চলে। তবে, তাতে কিছু নির্দেশিকা ছিল। এই প্রি-বুকিং পর্বে তাঁরাই টিকিট কাটতে পারবেন, যাঁদের একটি বিশেষ ব্যাঙ্কের বিশেষ ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড আছে । দু’দিন পর টিকিট সর্বসাধরাণের জন্য খোলা হলেও তাতে নিরাশ হন অনুরাগীরা। মাত্র ১ মিনিটের মাথায় নাকি বিক্রি হয়ে যায় সমস্ত টিকিট। তাতেই খটকা লাগে অনুরাগীদের। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দিলজিতের শোয়ের টিকিট মূল্য ১৯৯৯ টাকা থেকে শুরু। কিন্তু তা কেউ কিনে উঠতে পারেননি বলে অভিযোগ। সেই জায়াগায় টিকিট ছিল ৫৪ হাজার টাকার, তার পর ১৯,৯৯৯ এবং ১২,৯৯৯ টাকার । তাতেই অস্বচ্ছতার আঁচ করতে পারছেন অনেকে। দিল্লির বাসিন্দা আইনের ছাত্রী ঋদ্ধিমা কপূর ইতিমধ্যেই আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন তারকাকে।
তাঁর দাবি, তিনি টিকিট কেটেছিলেন। টাকাও কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু, পরে সেই টাকা তার অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাতেই খটকা লাগে ওই ছাত্রীর। তিনি যে নোটিস পাঠিয়েছেন, তাতে ক্রেতাদের অধিকারের কথাই জানতে চাওয়া হয়েছে। আচমকাই উধাও হয়ে যায় টিকিট, নিমেষে শেষ সব । তাঁর ধারণা, উদ্যোক্তরা নিজেরই টিকিটের ধরে রেখেছেন। ইচ্ছাকৃত ভাবে চাহিদা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। যাতে চড়া দামে টিকিট বিক্রি করতে পারেন। যদিও, এই ঘটনায় নাকি দিলজিৎ জানিয়েছেন, তাঁর শোয়ের টিকিট মধ্যবিত্তদের আয়ত্তাধীন নয়, এতটা সস্তা নয় যে সকলে কিনতে পারবেন।