Ranveer Singh

Ranveer Singh: ‘৮৩’র কপিল হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না রণবীর, বেরিয়ে এল নতুন তথ্য

জানেন কি, বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না ‘গালি বয়’। বরং তাঁর প্রিয় বন্ধুর কাছেই প্রথম গিয়েছিল ছবির প্রস্তাব।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৪৪
Share:

কপিল এবং পর্দার 'কপিল' রণবীর সিংহ

শোরগোল ফেলেছে ‘৮৩’। পর্দায় আসার ঢের আগে থেকেই চর্চায় তিরাশিতে ভারতের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে কবীর খানের ছবিটি। পর্দায় স্বয়ং কপিল দেব হয়ে উঠতে পেরে আপ্লুত নায়ক রণবীর সিংহ নিজেই। কিন্তু জানেন কি, বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক হিসেবে প্রথম পছন্দ ছিলেন না ‘গালি বয়’। বরং তাঁর প্রিয় বন্ধুর কাছেই প্রথম গিয়েছিল ছবির প্রস্তাব। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হল এমনই খবর।

কিন্তু কার কাছে প্রথমে গিয়েছিল ‘৮৩’? বলিপাড়ার খবর, কপিল দেবের ভূমিকায় প্রথম অর্জুন কপূরের কথাই ভাবা হয়েছিল। প্রস্তাব পেয়ে তিনি রাজিও হয়েছিলেন। পরে নানা কারণে তাঁর বদলে পর্দার কপিল হয়ে ওঠেন তাঁরই ঘনিষ্ঠতম বন্ধু রণবীর সিংহ।

শুধু নায়ক নন, পাল্টে গিয়েছেন ছবির পরিচালকও। জানা গিয়েছে, ‘৮৩’ ছবির কথা প্রথম ঘোষণা হয় ২০১৪ সালে। খসড়া চিত্রনাট্য তৈরি করে কাজ শুরু করেন সঞ্জয় পূরণ সিংহ চৌহান। তিনিই কপিল দেবের চরিত্রের প্রস্তাব নিয়ে যান অর্জুনের কাছে। ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’-এর অভিনেতার চিত্রনাট্য পছন্দ হয়ে গিয়েছিল তখনই। কয়েকটি লুক টেস্টও করেন। তবে তিনি চেয়েছিলেন এ ছবিতে সহ-প্রযোজক হয়ে আসুন আদিত্য চোপড়া। কিন্তু নিজেই ছবিটি পরিচালনা করতে চেয়ে তাতে নারাজ ছিলেন সঞ্জয়।

Advertisement

'কপিল' হওয়ার প্রস্তাব প্রথমে পান অর্জুন কপূর

বলিপাড়ার খবর, পরবর্তীতে সঞ্জয়কে না জানিয়েই ছবিটি পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। পরিবর্তে ২০১৭ সালে ছবিটির পরিচালক হিসেবে আসেন কবীর খান। এর পরেই কোনও কারণে কপিলের চরিত্র চলে যায় রণবীরের কাছে।

সদ্য ছবি মুক্তির পরে ইতিমধ্যেই দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে ‘৮৩’। আবেগে ভাসছেন অনেকেই। দর্শকদের মতোই বলিউড তারকারাও সেই তালিকায় সামিল। চর্চায় ঢুকে পড়েছে ভারত অধিনায়কের চরিত্র এবং অভিনেতা রণবীর।

কোথাও কি এ নিয়ে রণবীর-অর্জুনের মধ্যে বইছে ঈর্ষার চোরা স্রোত? তা না হলে প্রিয় বন্ধুর বহু-প্রতীক্ষিত ছবির প্রিমিয়ারে দেখা গেল না কেন তাঁকে? অর্জুন অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তার থেকে কয়েক মিনিটের জন্যও কি সময় বার করা যেত না? দাঁড়ানো যেত না বন্ধুর পাশে? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement