আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘দেখছিলাম, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা লিখছেন। কেউ কেউ বলছেন, রবীন্দ্রনাথকে সকলে বোঝে না। উনি কেবল উচ্চ শিক্ষিত শ্রেণির জন্যেই লিখে গিয়েছেন। সে সব দেখেই মনে হল যে এই পোস্টটি করে।’’ নায়িকা-নৃত্যশিল্পীর মতে, শ্রেণি-বিভাজনে বিভক্ত নন রবীন্দ্রনাথ।
দেবলীনা কুমার
এই ২৫ বৈশাখ ১৬১ তম জন্মবার্ষিকী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। বাংলাজুড়ে তাঁর গান কবিতা চর্চা চলছে। কিন্তু এমন দিনে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে পোস্ট দিতে ভয় পাচ্ছেন অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার। কিন্তু কেন? রবীন্দ্রনাথকে নিয়েই গবেষণা করেছেন বিধায়ক দেবাশিস কুমারের কন্যা। তা হলে কিসের এত ভয় তাঁর?
একটি নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন দেবলীনা। রবীন্দ্রনাথের গান ‘সজনী সজনী রাধিকা লো’-তে নাচ করেছেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী। পোস্টের সঙ্গে লিখেছেন, ‘ভাগ্গিস রবীন্দ্রনাথ কারও একার নন। নেটমাধ্যমে কয়েকজনের আপডেট দেখে মনে হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ নিয়ে আজ আপডেট দিলেই হেব্বি ধমক খাব। তাই খুব ভয়ে ভয়ে দিলাম। আসলে আমার পিএইচডি থিসিসও ‘কবিগুরু’কে নিয়ে।
তাই নিজেকে জ্ঞানী মনে করে, এই আপডটটা দিলাম। ভাল করে আজ ঠাকুরের পুজো হোক বাঙালির প্রতিটা ঘরে। উনি যে আমাদের প্রাণের ঠাকুর!’
কাকে ব্যঙ্গ করলেন দেবলীনা?
আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বললেন, ‘‘দেখছিলাম, বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের কথা লিখছেন ফেসবুকে। কেউ কেউ বলছেন, রবীন্দ্রনাথকে সকলে বোঝে না, উনি কেবল উচ্চবিত্তদের জন্যেই লিখে গিয়েছেন। সে সব দেখেই মনে হল যে এই পোস্টটি করি।’’ নায়িকা-নৃত্যশিল্পীর মতে, শ্রেণী বিভাজনে বিভক্ত নন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কলম সকলের জন্যেই। দেবলীনা মনে করেন, কোনও ঠাকুরের অস্তিত্ব যদি না-ও থাকে, এক জন ঠাকুরের অস্তিত্ব সকল বাঙালির জীবনেই আছে, তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।