মা-বাবার সঙ্গে দেবলীনা।
বিয়ের রাত ফুরোতে যেটুকু অপেক্ষা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যেই ভবানীপুরে চট্টোপাধ্যায় ভবনের দিকে রওনা দিলেন মহানায়ক উত্তমকুমারের নাতবৌ। বুধবার রাতে বৈদিক নিয়ম মেনে সপ্তপদী, শুভদৃষ্টি, সিঁদুর দান হয়ে চার হাত এক হয় গৌরব চট্টোপাধ্যায়-দেবলীনা কুমারের। যে গাড়িতে বৌ নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন সেই গাড়ির ছবিও শেয়ার করেছেন গৌরব। কালো হেক্টার সাজানো রং-বেরঙের বেলুনে। গায়ে শোলার লাল টুকটুকে হার্ট সাইন। তাতে সোনালি জরি দিয়ে লেখা ‘জাস্ট ম্যারেড’।
একই সঙ্গে চোখে জল, মুখে হাসি দেবলীনা কুমারের। নতুন জীবনের স্বপ্ন ছায়া ফেলেছে সেই চোখে। পাশাপাশি বাড়ি, মা-বাবার কোল ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে বলেও মনকেমন। চোখ ভিজেছে শুধু দেবলীনারই নয়, বাবা দেবাশিস কুমার, মা দেবযানী কুমারেরও। গতকালই মেয়ের বিয়ে নিয়ে বলতে বলতে কান্নায় গলা বুঁজে এসেছিল তাঁর।
কন্যাসম্প্রদান না পসন্দ দেবলীনা কুমারের। তাই বিয়ের দায়িত্ব ছিল নচিকেতার উপর। যিনি অসংখ্য বিয়ে দিয়েছেন এই বিশেষ নিয়ম মেনে। এই নিয়মের জন্যই কনকাঞ্জলি দেননি দেবলীনা। বিয়ের দিন তিনি অপরূপা ডিজাইনার অভিষেক রায়ের তৈরি বেনারসীতে। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেটার পর এক সঙ্গে খেতে বসেন সদ্য সাতপাক ঘোরা গৌরব-দেবলীনা।
আরও পড়ুন: দেশের কোনও বিষয় নিয়ে লেখার অধিকার নেই অভিনেতাদের? বিস্ফোরক সায়নী
কী ছিল তাঁদের পাতে? লুচি, ছোলার ডাল, লম্বা করে কাটা ফালি বেগুনভাজা, চিংড়ির কাটলেট, রাইস, দইপোনা, পাঁঠার মাংস, পাটিসাপটা, পয়োধি, সন্দেশ। দেবাশিস লুচি দিয়ে লম্বা বেগুনভাজা খেতে ভীষণ ভালবাসেন। দেবলীনার ফেভারিট মাটন। গৌরবের পছন্দ মাছ। ফ্রাই কিছু হলে বেশি খুশি। তাই চিংড়ির কাটলেট। এ ভাবেই সবার পছন্দের কথা মাথায় রেখে মেনু সাজানো হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অমিতাভ থেকে অনুষ্কা, ফোর্বসের প্রভাবশালীদের তালিকায় ভারতীয়দের দখল
‘রাণী রাসমণি’ ফ্যান পেজ থেকে শেয়ার হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে কাঁসার থালা, বাটিতে যত্ন করে সাজিয়ে গুছিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে সমস্ত খাবার। দেবলীনা নিজের হাতে মাছের বিশাল মুড়ো খাইয়ে দিচ্ছেন গৌরবকে।