দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়।
দিন দুই ধরে অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়ের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল। যেখানে তিনি বিস্ফোরক। তিনি বলছেন, অনেকেই মনে করেন, টাকা দিয়ে সব হয় না! কিন্তু যাঁর হাতে টাকা, তিনিই সব থেকে সুখী। তাঁর দাবি, অর্থই সব। টাকা থাকলে মনখারাপ হলে গাড়ি কেনা যায়। বেড়াতে যাওয়া যায়। এতেই মন ভাল হয়ে যাবে। পাশে কেউ থাকুক না থাকুক। তাঁর অভিজ্ঞতায়, মানুষ ঠকাতে পারে। কিন্তু উপার্জিত অর্থ কখনও ঠকায় না। সম্প্রতি পর পর চার মডেল-অভিনেত্রীর রহস্যমৃত্যু অর্থের প্রাচুর্য, ভোগ-বিলাসিতার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। সেই পরিস্থিতিতে এই বক্তব্য! দেবচন্দ্রিমা সত্যিই কি এই মতেই বিশ্বাসী?
জানতে আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল সাঁঝবাতির ‘চারু’র কাছে। খুব শিগগিরিই তিনি ছোট পর্দায় ফিরছেন ‘সাহেবের চিঠি’ ধারাবাহিকের হাত ধরে। কথার শুরুতেই তাঁর দাবি, তাঁর ভ্লগ থেকে বক্তব্য বিকৃত করে ভিডিয়ো আকারে পোস্ট করা হয়েছে। মাত্র দু’দিনে তার দর্শকসংখ্যা ৩ লক্ষের উপরে। নানা কটু মন্তব্যও শুনতে হচ্ছে তাঁকে। অনুযোগ, তিনি আত্মহত্যার বিরোধিতা করেও একটি ভ্লগ পোস্ট করেছেন। সেটি নিয়ে কিন্তু কেউ কথা বলছেন না।
দেবচন্দ্রিমা জানিয়েছেন, তাঁর এক তরুণী অনুরাগীর সম্প্রতি বিচ্ছেদ হয়েছে। অভিনেত্রীর ভ্লগে প্রশ্নোত্তর বিভাগে তিনি জানতে চান, এ বার তিনি কী করবেন? বিচ্ছেদের যন্ত্রণায় তিনি কাজকর্মও ভুলেছেন। তারই উত্তরে অনুরাগিনীকে বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, সম্পর্ক ভেঙে গেলে ফের নতুন সম্পর্ক তৈরি হতেই পারে। কিন্তু কাজে অমনোযোগী হলে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। তখন তিনি আর কিছুই করতে পারবেন না। এবং তা কাম্যও নয়।
নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে জোরালো যুক্তিও দিয়েছেন তিনি। দাবি, মা-বাবার মতো আপন আর কেউ নয়। কিন্তু তাঁদের দেখাশোনা করতে গেলেও উপার্জন প্রয়োজন। কোনও কাজই অর্থ ছাড়া হয় না। অর্থাৎ, উপার্জন জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই আত্মহননের পথে না হেঁটে নিজেকে উপযুক্ত করে তোলাই সঠিক পথ। কারণ, মানব জীবন দু’বার আসে না। দেবচন্দ্রিমার কথায়, ‘‘আমার ভ্লগে এই কথাগুলোই বলা আছে। প্রায় ২০ লক্ষ দর্শক আমার ভ্লগ দেখেন। তাঁদের আঘাত করবে, এমন কিছু কখনও বলতে পারি?’’ এও জানিয়েছেন, ভ্লগটি তিনি বানিয়েছিলেন প্রায় আট মাস আগে। এখন সেই ভিডিয়ো বিকৃত করে ফের পোস্ট করা হয়েছে।
ইউটিউব ভিডিয়োটি বিকৃত করায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। যিনি করেছেন তাঁর সঙ্গে মন্তব্য বাক্সে কথাও বলেছেন। নেট ব্যবহারকারী সেই ব্যক্তি ক্ষমাও চেয়েছেন দেবচন্দ্রিমার কাছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।