জাভেদ।
দিন কয়েক ধরেই ফেসবুকে আচমকাই ভাইরাল আমির খানের এক সময়ের সহ-অভিনেতা জাভেদ হায়দার। লকডাউনে কাজ হারিয়ে তিনি এখন সব্জিবিক্রেতা! তাঁর টিকটক ভিডিয়ো বলছিল তাই। উপচে পড়ছিল সমবেদনা।
কিন্তু এ কী ! বাস্তবে জাভেদ নাকি পেশা পরিবর্তন করেননি মোটেই। দিব্বি রয়েছেন স্ত্রী, মেয়ে সংসার নিয়ে। তবে যে ওই ভিডিয়োগুলো? ‘‘ও নিতান্তই শখে’’, দাবি তাঁর।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাভেদ বলেন, ‘‘আমি একজন অভিনেতা। লকডাউনে কাজ নেই ঠিকই। কিন্তু সব্জি বিক্রি করছি না আমি। আমার মেয়ে টিকটক ব্যবহার করে। ও-ই বলল, এই অ্যাপটার কথা। প্রথম দিকে আমি সমাজে সচেতনতার বার্তা দেওয়া কিছু ভিডিয়ো করি। এর পর হঠাৎ করেই মনে হল একটু অন্যরকম কিছু করলে কেমন হয়?’’
যেমন ভাবা তেমন কাজ। বাড়ির সামনের সব্জিবিক্রেতার অনুমতি নিয়ে তাঁর ঠেলাগাড়িতেই সব্জি বিক্রি করার টিকটক ভিডিয়ো একের পর এক প্রকাশ করতে থাকেন তিনি। প্রথম ভিডিয়োটিতেই ভিউ ছাড়ায় ১০ লক্ষ। উৎসাহ পেয়ে প্রতিদিনই প্রায় ওই ধরনের ভিডিয়ো পোস্ট করতে শুরু করেন জাভেদ।
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোনও কিছু ভাইরাল হতে কয়েক মুহূর্ত লাগে। তাই অভিনেত্রী ডলি বিন্দ্রা যখন জাভেদের এক ভিডিয়ো শেয়ার করে লিখেছিলেন, লকডাউনে কাজ হারিয়ে এখন সব্জি বিক্রি করছেন এই অভিনেতা, তখন আপামর জনতা বিশ্বাস করেছিল তাই-ই।
জাভেদ বললেন, ‘‘মার্চেই নতুন ফ্ল্যাট কিনেছি। পয়সার সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অন্য কোনও পেশা বাছিনি। তবে যদি প্রয়োজন হয় সব্জি বিক্রি করতেও আমি রাজি।’’
জাভেদ ভাগ্যবান। তাঁকে সব্জি বিক্রি করতে হয়নি ঠিকই। কিন্তু লকডাউনে পেটের দায়ে অনেক জুনিয়র আর্টিস্ট এবং অভিনেতাকেই বেছে নিতে হয়েছে অন্য পেশা। জলাঞ্জলি দিতে হয়েছে স্বপ্নের।