অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা
কথা ছিল, আল্পসের বুকে অঙ্কুশের সঙ্গে জন্মদিন কাটাবেন ঐন্দ্রিলা সেন। তবে সে ইচ্ছেপূরণ আপাতত অধরা। করোনার দাপটে জন্মদিনে সুইৎজ়ারল্যান্ড যাওয়ার পরিকল্পনা আগেই বাতিল হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর। তবু জন্মদিন বলে কথা! কিছু অন্য রকম প্ল্যানিং তো থাকেই। মঙ্গলবার ঐন্দ্রিলা তাঁর জন্মদিনে আনন্দ প্লাসকে বললেন, ‘‘মা আর আমি অঙ্কুশের বাড়িতে রয়েছি। লকডাউনের জন্য ওর বাড়ি এসে আটকে গিয়েছি। তবে সকাল থেকেই দেখছি, মা আর কাকিমা (অঙ্কুশের মা) রান্নাঘরে তোড়জোড় করছেন।’’
ঐন্দ্রিলার জন্মদিনের স্পেশ্যাল মেনুতে রয়েছে মাটন, পায়েস, পোস্তর পদ। তবে নায়িকা বললেন, ‘‘জন্মদিন আমার না অঙ্কুশের, বোঝা মুশকিল! পোস্ত খেতে ও ভালবাসে। তাই পোস্ত হয়েছে। আর কেক আমারই বানানোর কথা ছিল। জন্মদিন বলে নয়, এমনিই। তবে সে আর হয়নি। আর এখন বাইরে থেকে কেক আনানো সম্ভব বলে মনে হয় না।’’
ঐন্দ্রিলাকে জন্মদিনের প্রথম শুভেচ্ছা কিন্তু অঙ্কুশ জানাননি। রাত বারোটার কাঁটা এক হতেই মুম্বই থেকে বন্ধুদের এক গ্রুপে মহুলকে ফোন করে প্রথম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রোদ্দুর মানে বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ‘‘বিক্রম প্রথম উইশ করেছে। খুব ভাল লেগেছে সেটা।’’ আর উপহার? ‘‘এখন ও কলকাতায় নেই। তাই এ যাত্রায় বেঁচে গেল। গত বছর একটা খুব সুন্দর ড্রেস দিয়েছিল,’’ বলছিলেন বার্থডে গার্ল।
অঙ্কুশ কী উপহার দিলেন ঐন্দ্রিলাকে? ‘‘এখনও অবধি কিছু দেয়নি। আর আমাদের বেড়াতে যাওয়া ভেস্তে গিয়ে অনেক টাকার লোকসান হয়েছে। তাই সত্যি বলছি, ওর কাছে কিছু চাইতেও পারব না।’’
বন্ধুমহলে কৃপণ বলে অঙ্কুশের দুর্নাম রয়েছে। তবে ঐন্দ্রিলাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি অঙ্কুশের পক্ষেই উল্টো সওয়াল করেন। তবে এ বার পরিস্থিতি গম্ভীর। তাই অঙ্কুশের ‘কিপ্টেমি’ও সাত খুন মাফ!
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।