রণজয়- সোহিনী
পরিকল্পনা ছিল না, পরিস্থিতি সুযোগ তৈরি করে দিল। লকডাউনের জেরে একসঙ্গে থাকতে শুরু করেছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার ও রণজয় বিষ্ণু। গত ২৯ মার্চ ছিল রণজয়ের জন্মদিন। সোহিনীর বাড়িতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছিলেন। পরদিনই ব্যাগ গুছিয়ে সোহিনীর বাড়ি থাকতে চলে আসেন রণজয়। ‘‘এই সময়টায় একে অপরকে ছেড়ে দূরে থাকা বেশ চাপের,’’ বলছিলেন অভিনেত্রী। একসঙ্গে থাকার প্রস্তাবও তিনিই দিয়েছিলেন। এই সুযোগে অনেকটা সময় কাটাতে পেরে দু’জনেই রিল্যাক্সড।
সোহিনী বলছিলেন, ‘‘একে অপরকে চেনার এটাই ঠিক সময়। কঠিন পরিস্থিতি আমাদের আরও কাছাকাছি এনে দিয়েছে।’’ অন্য দিকে রণজয় বলছেন, ‘‘ছোটখাটো ঘটনার মধ্য দিয়েই একে অপরের কম্প্যাটিবিলিটি বোঝা যায়।’’ লিভ-ইনে কাজের দায়িত্ব ভাগ করে নিয়েছেন দু’জনে। রান্নার দায়িত্ব সোহিনীর আর রণজয় পেয়েছেন ঘর গোছানো, বাথরুম পরিষ্কারের কাজ। রান্নাতেও বাহুল্য নেই। এঁচোড়ের ঘন্ট, কচুর লতি বা তেতোর কোনও পদ... প্রেমিকার রান্নায় আপ্লুত রণজয় বলছিলেন, ‘‘সোহিনীর হাতে জাদু আছে। একদম মা-ঠাকুমার রান্নার মতো।’’ রান্না ছাড়াও নায়িকার ছবি আঁকার হাতও যে খুব ভাল, সেটা এ বারেই আবিষ্কার করেছেন রণজয়। তিনি নিজেও কিন্তু ভাল ছবি আঁকেন। একটা সময় আঁকা শেখাতেন রণজয়। তবে এখন শারীরচর্চাই তাঁর প্যাশন। অবসরে মন দিয়ে শারীরচর্চা করছেন রণজয়। টেনে নেন সোহিনীকেও।
এর পাশাপাশি চলছে বই পড়া, সিনেমা-সিরিজ় দেখা। দু’জনের পছন্দ এক, তাই বিরোধও নেই। তবে এর মধ্যে দু’জনের টুকটাক ঝগড়া অবশ্য হয়েছে। কাজকর্ম নিয়ে কাটাছেঁড়াও চলছে। তেমন কিছু হলে দু’জনে কোয়রান্টিনে চলে যান। ‘‘দুটো ঘর আছে, আলাদা-আলাদা থাকি তখন। আমি কখনও ছাদে চলে যাই, আপন মনে হাঁটি,’’ বললেন সোহিনী। পরিবারের কাছ থেকে কতটা নৈতিক সমর্থন পেয়েছেন, এই লিভ-ইনের সিদ্ধান্তে? সোহিনীর কথায়, ‘‘লকডাউনের মেয়াদ আরও বাড়লে মাকে সঙ্গে এনে রাখব। আর রণ বরাবরই পরিবারের প্রতি যত্নশীল।’’
অবসর ও কাজের মিলমিশে খুঁজে পেয়েছেন একে অপরের মন। কিন্তু ভবিষ্যতে তাঁরা কি সাত পাকে বাঁধা পড়বেন বা লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলেও একসঙ্গে থাকবেন? ‘‘বিশ্বের কেউ জানে না, এর পর কী হবে। তাই আমরা কী সিদ্ধান্ত নেব, সেটাও সময়-পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করছে,’’ স্পষ্টবক্তা সোহিনী।
আরও পড়ুন: লকডাউনে বান্ধবী গ্যাব্রিয়েলার সঙ্গে আটক অর্জুন রামপাল